জতুগৃহ। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এখনও জ্বলছে কন্টেনার ডিপো। রয়টার্স
শনিবার গভীর রাতে আগুন লেগেছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি কন্টেনার ডিপোতে। ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেই আগুন। সোমবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দেড়শোরও বেশি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর, বহু মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। সোমবার থেকে সেই সব দেহের ডিএনএ পরীক্ষা হবে।
বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ‘প্রথম আলো’-কে বলছে, জ্বলন্ত কন্টেনারগুলির পাশে একটি কন্টেনারে রাসায়নিক থাকতে পারে। যে কারণে তারা সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে কত সময় লাগতে পারে, তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে সেনা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান ‘প্রথম আলো’কে বলেছেন, এখনও ছয় থেকে সাতটি কন্টেনারে আগুন জ্বলছে। এই কন্টেনারগুলিতে রপ্তানি করার জন্য পোশাক রয়েছে বলে জানান তিনি। এর পাশেই একটি কন্টেনারে রাসায়নিক থাকতে পারে বলে তাঁর ধারণা। তিনি বলেন, ‘‘এখন লক্ষ্য ওই রাসায়নিক ভর্তি কন্টেনারটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা।’’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ডিপোর ভেতরে কয়েকটি কন্টেনারে এখনও আগুন জ্বলছে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনের উপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জল ছেটালেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। পঞ্চাশটি কন্টেনার থেকে এখনও ধোঁয়া উঠছে। পুরো এলাকা আগুনে পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
সোমবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমানের।
এরই মধ্যে, বিএম কন্টেনার ডিপো বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, ১০ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা আর্থিক সহায়তা-সহ তাঁদের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়া হবে। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের ছ’লক্ষ বাংলাদেশি টাকা ক্ষতিপূরণ-সহ চাকরি দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy