Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
International News

পাসপোর্ট-সহ বিজনেস ক্লাসে বিমানযাত্রা ‘দেবতা’র!

চিনা মুদ্রায় সেই টিকিটের দাম ২,০৯১ ইয়েন। অর্থাৎ প্রায় ৩০০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় হিসাব করলে দাঁড়ায় প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো।

বিমানের একেবারে সামনের আসনে বসে রয়েছেন মাজু।

বিমানের একেবারে সামনের আসনে বসে রয়েছেন মাজু।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ১৬:৩৯
Share: Save:

বিমানের বিজনেস ক্লাসের অভিজাত টিকিট। চিনা মুদ্রায় সেই টিকিটের দাম ২,০৯১ ইয়েন। অর্থাৎ প্রায় ৩০০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় হিসাব করলে দাঁড়ায় প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো।

দামি বিমানের আসনে বসে আছেন মাজু, সমুদ্রের দেবতা। দুই পাশে তাঁর দুই রক্ষী, কুইয়ানলিয়ান এবং শানফেং। গায়ে তাঁর রংবেরঙের জামাকাপড়। দেবতার গায়ে রয়েছে অসংখ্য গয়না। ‘বসার’ সুবিধার জন্য বিমানের একেবারে প্রথম সিটে জায়গা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বিজনেস ক্লাসের আসনে মাজুর সেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন যাত্রীরা। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

বোর্ডিংয়ে দুই রক্ষী নিয়ে অপেক্ষায় মাজু

ঘটনাটি জিয়ামেন এয়ারলাইন্সের। ফুজিয়ান প্রদেশ থেকে কুয়ালা লামপুরে আসছিল সেটি। ফুজিয়ান প্রদেশের মেইঝু দ্বীপকেই মাজুর জন্মস্থান বলে মনে করা হয়। কুয়ালা লামপুরে একটি অনুষ্ঠানে মূর্তিটি নিয়ে আসার জন্য এই ব্যবস্থা করেন ভক্তেরা। ১৩০ জন ভক্ত তাই একেবারে রক্ষক-সহ মাজুকে বিমানে নিয়ে যাওয়ার ব্যস্থা করেন। কিন্তু মালয়েশিয়া যেতে হলে তো পাসপোর্টের প্রয়োজন। “মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বিশেষ পাসপোর্টেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আরাধ্য দেবতার জন্য এ টুকু আমাদের করতেই হত”— বলেন এক ভক্ত।

আরও পড়ুন: টিকিট থাকতেও বিমানে বসতে পারল না আড়াই মাসের শিশু

মাজু ও তাঁর দুই রক্ষী কুইয়ানলিয়ান এবং শানফেং-এর পাসপোর্ট

বিমান থেকে নামার পর বাসে করে ওই রক্ষী-সহ মাজুর মূর্তিকে মালয়েশিয়ার মালাক্কাতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ভক্তরা মাজুকে নিয়ে যান সিঙ্গাপুরে। আসলে দেবতাকে একটা ছোট্ট ‘ট্যুর’ উপহার দেওয়াই নাকি ছিল ভক্তদের উদ্দেশ্য।

ফুজিয়ান প্রদেশে মাজু মন্দিরের পুরোহিত জানান, মাজুর আশীর্বাদ সকলেই পেতে চান। কিন্তু মন্দিরে গিয়ে দেবতাকে দর্শন করা সবসময় সম্ভব হয় না। তাই দেবতার আশীর্বাদ সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই এমন কাজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টিও ছিল।

ফেসবুকে এই ছবি পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে মজা করে প্রশ্ন তোলেন, দেবতা কি বোর্ডারদের আশীর্বাদ দিচ্ছিলেন? অনেকে আবার বলেন, দেবতাকেও কি বিমানের সুরক্ষা ব্যবস্থার স্তরগুলি পেরতে হয়েছিল?

ছবি: নিউজ ইউথ প্রিটার ফেসবুক পেজের সৌজন্যে

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy