শি চিনফিং। —ফাইল চিত্র।
প্রত্যাশামতোই বেজিংয়ে আজ থেকে শুরু হল চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ষষ্ঠ প্লেনাম। চিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এই বৈঠকে একটি বিরল ঐতিহাসিক প্রস্তাব পেশের কথা আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছেন। গোটা দুনিয়ার নজর এখন তাই সে দিকেই। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদরে মতে, এই প্লেনাম আসলে দলে শি-র কর্তৃত্বকেই আরও দৃঢ় করবে। সেই সঙ্গে আগামী বছরের ২০তম পার্টি কংগ্রেসের ভিতও তৈরি করবে।
চার দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে রাজধানী এসেছেন দলের সেন্ট্রাল কমিটির অন্তত ৪০০ জন শীর্ষ স্থানীয় নেতা। তবে বেজিংয়ে গত কয়েক দিনে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অতিরিক্ত মাত্রায় সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ঢোকা ও বেরোনোর ক্ষেত্রেও রয়েছে প্রচুর কড়াকড়ি।
কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিটি বৈঠকের মতো এই সম্মেলনও হচ্ছে রুদ্ধদ্বার। তবে চিনের জাতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আজ বৈঠকের শুরুতেই শি প্রতিনিধিদের সামনে দলের সামগ্রিক কাজের একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। সেই সঙ্গে গত ১০০ বছরে পার্টির গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এবং ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার খসড়া প্রস্তাবের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
আগামী বছর টানা দু’বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে চিনফিংয়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এর পরে তৃতীয় বারের জন্য তাঁকেই ফের দেশের প্রেসিডেন্ট করবে তাঁর দল। আগে চিনের কোনও নেতা একসঙ্গে দু’বারের বেশি দেশের প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারতেন না। ২০১৮ সালে সংবিধান বদল করে সেই নিয়মে বদল আনেন শি। ফলে তাঁর পূর্বসূরি হু জিনতাও দু’বারের মেয়াদ পূর্ণের পরে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে এলেও শি-র ক্ষেত্রে তা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। মাও জেদংয়ের পরে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আর কোনও নেতা শি-র মতো ক্ষমতা ভোগ করেননি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
আগামী বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং-সহ কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ স্থানীয় অনেক নেতারই বয়স ৬৮ পেরিয়ে যাবে। তার পরেও তাঁরা পার্টির শীর্ষ পদে থাকবেন, না কি পুরনো রীতি মেনে তাঁদের সরিয়ে অন্যদের সেই পদে বসানো হবে, সে বিষয়েও এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। সেই মতো আগামী বছর দেশের জন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছার প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
প্লেনাম শুরুর ঠিক আগেই চিনা জাতীয় সংবাদমাধ্যম শি-র প্রশংসায় ছিল পঞ্চমুখ। দেশ জুড়ে দুর্নীতি দমন অভিযান থেকে শুরু করে হংকং বা তাইওয়ানে চিনা আধিপত্য বজায় রাখতে চিনফিং প্রশাসন যা পদক্ষেপ নিয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে চিনের জাতীয় সংবাদপত্র। উত্তর সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, শি-র নেতৃত্ব ও গভীর ভাবনা দেশ ও দলকে এক অভিনব উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
চিনের প্রস্তুতি
ওয়াশিংটন, ৮ নভেম্বর: প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু চিন-আমেরিকার দ্বন্দ্ব তাতে কমেনি। উল্টে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আধিপত্যের বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ সব সময়েই চড়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, আমেরিকান নৌ বহরকে নিশানা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং।
সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, শিনজিয়াং প্রদেশের মরুভূমিতে আমেরিকান যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর আকৃতি হুবহু নকল করে তার একটি প্রতিকৃতি বানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তারা অন্তত দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যন্ত্রও তৈরি করেছে ওই মরুভূমিতে। মনে করা হচ্ছে আমেরিকান নৌ বহরকে নিশানা করতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্যই এগুলি তৈরি করেছে চিন। এমনিতে আমেরিকান গোয়েন্দা রিপোর্ট জানাচ্ছে, শিনজিয়াংয়ের তাকলামাকান মরুভূমির একটি কেন্দ্রে সাধারণত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে থাকে চিন। কিন্তু সেখানেই আমেরিকান নৌ বহর নকল করে চিনের এই প্রস্তুতির ছবি উদ্বেগ বাড়িয়েছে পেন্টাগনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy