চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। ছবি: ফেসবুক।
করোনাভাইরাসের উৎস কোথায়?
এ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বহু দিন ধরে। চিনের উহানে প্রথম সংক্রমণের খবর মেলে। আমেরিকার দাবি, চিনই উৎস।
কিন্তু চিনের পাল্টা দাবি তারা উৎস নয়, আরও আগে ভাইরাস ছড়িয়েছিল আমেরিকায়। দু’দেশই এই মর্মে রিপোর্ট প্রকাশ করে ফেলেছে। আমেরিকা তার সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে লিখেছে, চিনের ‘সহযোগিতা’ ছাড়া কোনও দিন এই ভাইরাসের উৎস জানা সম্ভব হবে না। এতে ক্ষুব্ধ বেজিং। চিনের দিকে এ ভাবে আঙুল তোলাকে তারা, ‘রাজনৈতিক’ ও ‘মিথ্যাচার’ বলেছে।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার আগেও ভাইরাসের উৎস সন্ধানে আমেরিকা তদন্ত করেছিল। তাতে স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। এ বারে ৯০
দিন ব্যাপী পর্যালোচনার পরে আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, কোনও প্রাণীর থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটেছিল, নাকি গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছিল ভাইরাস, এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব নয় চিন আরও তথ্য না-দিলে। রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, চিন এখনও গোটা বিশ্বের থেকে অনেক কিছুই লুকোচ্ছে। তারা সহযোগিতা না করলে করোনাভাইরাসের উৎস জানা অসম্ভব। তদন্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছনো যাবে না কিছুতেই।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন রবিবার একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, চিন অগস্টেই আমেরিকান রিপোর্টের কড়া নিন্দা করেছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকা যত বারই রিপোর্ট প্রকাশ করুক না কেন, আর যত রকমের কথাই বলুক না কেন, ওদের রিপোর্টের প্রকৃতি বদলাবে না— সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও মিথ্যাচার।’’ আমেরিকার গোয়েন্দা বাহিনীকে যে ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাকেই রাজনীতিকরণের ‘জলজ্যান্ত’ উদাহরণ হিসেবে দেখছে বেজিং। তাদের বার্তা, চিনকে আক্রমণ করা বন্ধ হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy