আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেসেন্টেন্টিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর নিয়ে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল চিন। কড়া ভাষায় জানিয়ে দিল, তাইওয়ান নিয়ে বাইডেন প্রশাসন অতিসক্রিয়তা দেখালে তাদের সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভাবে বসে থাকবে না।
সপ্তাহান্তে এশিয়া সফরে বেরোচ্ছেন পেলোসি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের প্রভাব কমোনোর লক্ষ্যে ও নিজেদের কৌশলগত অবস্থান পোক্ত করতে সিঙ্গাপুর, জাপানের মতো দেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা তাঁর। প্রাথমিক ভাবে তাঁর সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম না থাকলেও, পরে পেন্টাগনের অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, তাইওয়ানের রাজধানী শহর তাইপেই-তে অবতরণ করতে চলেছে ন্যান্সির বিমান। ঘটনাচক্রে যে দিন ন্যান্সি তাইওয়ান সফরে আসছেন, সে দিনই চিনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি-র ৯৫-তম প্রতিষ্ঠা দিবস। চিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান তাইওয়ান প্রশ্নে চিনের অবস্থানকে আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে বলেছেন, আমেরিকা প্রশাসনের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তাইওয়ান সফর ‘দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ছাপ’ ফেলতে চলেছে।
পেলোসির সম্ভাব্য এই সফর নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায়নি তাইওয়ান প্রশাসন। সত্যিই যদি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান, তবে ১৯৯৭ সালের পর ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম আমেরিকার কোনও স্পিকার তাইওয়ান সফরে যাবেন। চিন বরাবর, তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করেছে। ড্রাগনের দেশ গোড়া থেকেই ‘অখণ্ড চিন’ নীতিতে অনড় থেকেছে। অন্যদিকে আমেরিকা তাইওয়ান সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি না দিলেও তাইওয়ানকে ‘আত্মরক্ষার স্বার্থে’ অস্ত্র সরবরাহ ও অন্যান্য সরবরাহ করে এসেছে। স্বভাবতই চিন আমেরিকার এই পদক্ষেপকে তাদের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ বলে মনে করেছে। পেলোসির তাইওয়ান সফর দু’দেশের স্নায়ুযুদ্ধ আরও বাড়াবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy