ফাইল চিত্র।
বেশি দামে নিম্ন মানের চিকিৎসা সরঞ্জাম চিন থেকে ঢুকছে ভারতে। এমন অভিযোগই উঠছে দেশের সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে থেকে।
অভিযোগ, বিশ্বের অন্য দেশগুলি যেখানে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে একযোগে লড়ছে, একে অন্যকে সাহায্য করছে, সেখানে চিন এই পরিস্থিতিকে মুনাফা অর্জনের জন্য বেছে নিচ্ছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিনের সংস্থাগুলি বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম বাড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, তারা মূলত পাঠাচ্ছে ৫ ও ১০ লিটারের অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং সিলিন্ডার। যার দাম চিনের বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন রকম হাঁকছে। পাশাপাশি গত দশ দিনে কনসেনট্রেটরের দাম অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে চিনা সংস্থাগুলি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে সিলিন্ডার প্রতি একশো ডলারেরও বেশি। বাড়তি দাম দিয়ে যে সামগ্রী আসছে তার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞ শিবিরে। অন্য দিকে ত্রাণের কাজে এই সরঞ্জাম কেনা হলেও চিন কোনও ছাড় দিচ্ছে না। কিন্তু মুখে বেজিং বলছে, তারা সবকিছুই মানবিক প্রচেষ্টা থেকে করছে। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতও এ কথাই বলছেন। ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারি মঞ্চ কোভিড-যুদ্ধে ভারতকে ১ লক্ষ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেগুলির মধ্যে বেশির ভাগই কেনা হচ্ছে চিন থেকে। তাদের লেনদেন সংক্রান্ত নথিতে দেখা যাচ্ছে, অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের দাম ৩৪০ থেকে বাড়িয়ে ৪৬০ ডলার করেছে চিনা সংস্থাগুলি। ঘটনা হল, এই কেনা-বেচায় সরাসরি ভারত সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। তারা বিশ্বের যে সব রাষ্ট্রের থেকে সরকারি ভাবে কোভিড মোকাবিলার সরঞ্জাম আনাচ্ছে তার মধ্যে চিন নেই। ভারতের বেসরকারি সংস্থাগুলি যাতে দ্রুত নিজেরা সরঞ্জাম কিনতে পারে তার জন্য বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়াটিতে সহায়তা করা হচ্ছে মাত্র। তাই এক্ষেত্রে জেনে বুঝেও ঘরোয়া ভাবে বেজিং-কে দেশের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির অভিযোগ পৌঁছে দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই আপাতত সাউথ ব্লকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy