তাইওয়ানের পথে এগোচ্ছে চিনের যুদ্ধজাহাজ। প্রতীকী ছবি।
তাইওয়ানকে ঘিরে আবার সামরিক ‘আগ্রাসন’ শুরু করল চিন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানের দিকে ৭১টি যুদ্ধজাহাজ ও ৭টি জাহাজকে পাঠিয়েছে তারা। এগুলোর মধ্যে কিছু জাহাজ ইতিমধ্যেই তাইওয়ান প্রণালী পেরিয়ে গিয়েছে বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ দাবি করেছে।
গত শনিবারই সামরিক খাতে ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা। তাইওয়ানের জন্য আলাদা করে অর্থবরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছিল পেন্টাগন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখছে না চিন। চিনা সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের মুখপাত্র শি ই গত রবিবার রাতেই বিবৃতি দিয়ে জানান, তাইওয়ানকে নিয়ে আমেরিকার এই প্ররোচনা ভাল ভাবে নিচ্ছে না চিন। তারপরই তিনি তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সামরিক টহলদারি এবং সামরিক মহড়া চালানোর কথা ঘোষণা করেন।
শি-র এই বক্তব্যের আগে থেকেই তাইওয়ানের উদ্দেশে যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে শুরু করে। তা চলে রবিবার গভীর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে অখণ্ড চিনের অংশ মনে করে বেজিং প্রশাসন। অপর দিকে তাইওয়ানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও স্বতন্ত্র দেশের মর্যাদা দিয়ে থাকে আমেরিকা। সামরিক বাজেটে তাইওয়ানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্তকে সার্বভৌমত্বে ‘হস্তক্ষেপ’ হিসেবেই দেখছে চিন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে আমেরিকার এই ‘মদতে’র বিরুদ্ধেই চিন, তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাইওয়ানের তরফে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
গত অগস্ট মাসেও আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টিটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল চিন ও আমেরিকার সম্পর্ক। সে সময়ও এক মাসের বেশি সময় ধরে তাইওয়ান প্রণালী ধরে সামরিক মহড়া চালিয়ে গিয়েছিল চিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy