গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের সীমান্তে আগ্রাসন চালাচ্ছে চিন। বেজিং-এর সেই রক্তচক্ষুর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। এ ভাবেই শি চিনফিং সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন কূটনীতিক স্টিফেন বাইগান। মার্কিন বিদেশ দফতরের সহ-সচিব বাইগান বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি চুরি থেকে বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার চেষ্টা এবং জলসীমায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাকে সব রকম ভাবে রোখার চেষ্টা করা হবে। আর এই উদ্দেশে একটি ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা— এই চতু্র্দেশীয় নিরাপত্তা আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইগান।
পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক, গালওয়ান উপত্যকায় ক্রমাগত আগ্রাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। তার জেরে গালওয়ানে ঘটে গিয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এ ছাড়া অন্য যে দেশের সঙ্গেই সীমান্ত রয়েছে, সেই সব জায়গাতেও একই ভাবে আগ্রাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে চিনা বাহিনী। কর্তৃত্ব বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ইন্দো প্যাসিফিক এলাকাতেই। এই প্রেক্ষিতেই ভারত-মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের সম্মেলনে আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত রিচার্ড বর্মার সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দিয়েছিলেন বাইগান।
সেই কথোপকথনেই চিনের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসের এই মনোভাব ব্যাখ্যা করেন বাইগান। তিনি বলেন, আমাদের কৌশল হচ্ছে চিনকে সব দিক দিয়ে আটকাতে হবে। আমরা নিরাপত্তার দিক থেকে চেষ্টা করছি, অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্টের চেষ্টাও প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।’’ গালওয়ানের নাম করেই তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে গালওয়ান উপত্যকার সীমান্ত হোক, কিংবা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা— সর্বত্র এই চেষ্টা হচ্ছে। আর্থিক ভাবেও বেজিংকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে।’’ তিনি আরও জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে, চিনের আর্থিক আধিপত্য রুখে চিন-মার্কিন অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে প্রণবের শেষকৃত্য, গান স্যালুট-শোকে-শ্রদ্ধায় বিদায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির নির্দেশে ১৪টি পেজ সরিয়ে দেয় ফেসবুক!
দু’দশক আগে চিনকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছিল। সেই সময় এর উদ্দেশ্য ছিল চিনকে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলায় বাঁধা। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করেন মার্কিন কূটনীতিক। তিনি বলেন, ‘‘এই শতকের গোড়ার দিকে চিন দ্রুত আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে এই সংস্থার প্রভাবমুক্ত হয়ে এখন সেই সংস্থাগুলিকেই নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাতে চাইছে।’’ বাইগানের মন্তব্য, আমেরিকার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy