শনিবার চিনে নতুন করে ২৩ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এখনও বিশ্বের অধিকাংশ দেশের যাত্রীদেরই চিনে ঢোকার অনুমতি নেই। অতিমারি রুখতে ‘শূন্য কোভিড নীতি’ মেনে শি চিনফিং সরকার যে নিরাপত্তা-প্রাচীর গড়ে তুলেছে, তা ভাঙলে সে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ছ’লক্ষ ৩০ হাজার হতে পারত। এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক গবেষণা।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনের উহান প্রদেশ থেকে গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আগ্রাসী নীতি নিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে চিনা সরকার। আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা সত্ত্বেও ভারত-সহ বহু দেশের পর্যটক ও পড়ুয়াদের দেশে ঢোকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ওই দেশের প্রশাসন। পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিপোর্টে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের নীতি অনুসরণ করে চিনও যদি অন্য দেশের মানুষদের জন্য দরজা খুলে দেয়, তা হলে সেখানেও দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন।
শনিবার চিনে নতুন করে ২৩ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যাঁর মধ্যে ২২ জনই বিদেশি বলে জানানো হয়েছে চিনা প্রশাসনের তরফে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন যদি আমেরিকার নীতি মেনে চলে, তা হলে সেখানে দিনে ছ’লক্ষ ৩৭ হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়তে পারে। ব্রিটেনের পথ অনুসরণ করে চিনে দিনে আক্রান্ত হতে পারে প্রায় দু’লক্ষ ৭৫ হাজার আর ফ্রান্সের পথে হাঁটলে দৈনিক সংক্রমণ হতে পারে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ।
এই পরিসংখ্যান তুলে রিপোর্টের শেষে লেখা হয়েছে, ‘দরজা খুলে দেওয়ার নীতি গ্রহণ করার জন্য এখনও তৈরি নয় চিন। দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকা দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করার তত্ত্ব মেনেই আমাদের এগোতে হবে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy