নাথু লা-য় চিনা বাহিনীর প্রতি নির্মলা সীতারামনের সৌজন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ভাল হল, মনে করছে বেজিং। ছবি: ইউটিউব।
ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতেই ইচ্ছুক বেজিং। বিবৃতি দিয়ে জানালেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারত-চিন সীমান্ত সফর করার পরের দিনই এই বিবৃতি শোনা গেল বেজিং থেকে। ১৮৯০ সালে ব্রিটেন ও চিনের মধ্যে যে চুক্তির মাধ্যমে ভারত-চিন সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল, নাথু লা সেই চুক্তির সেরা সাক্ষী বলে মন্তব্য করেছেন হুয়া। নাথু লা সফরে গিয়ে নির্মলা সীতারামন চিনা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যে ভাবে সৌজন্য বিনিময় করেছেন, সোমবার একাধিক চিনা সংবাদপত্রে তার প্রশংসাও দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:চিনা সেনাদের নির্মলার ‘নমস্তে’, বায়ুসেনার হুঙ্কার
রবিবার ভারত-চিন সীমান্ত সফরে গিয়েছিলেন নির্মলা সীতারামন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে এটাই ছিল তাঁর প্রথম নাথু লা সফর। ভারতীয় সেনা শিবির পরিদর্শন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার ফাঁকে সীমান্তে মোতায়েন চিনা বাহিনীর সঙ্গেও কথা বলেন নির্মলা। চিনা সেনাদের তিনি ‘নমস্তে’ বলেন এবং পরে নমস্তে শব্দের অর্থও শিখিয়ে দেন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে চিনা বাহিনীর কথোপকথনের সেই ভিডিও পরে প্রকাশও করা হয়। চিনে এর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:চিনা সেনাকে পড়া ধরার ঢঙে আলাপ জমালেন নির্মলা, দেখুন ভিডিও
চিনা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডোকলাম নিয়ে টানাপড়েনের জেরে দু’দেশের মধ্যে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, সীমান্ত সফরে নির্মলা সীতারামনের সৌজন্য সেই তিক্ততাকে অনেকটা লঘু করল।সীতারামনের নাথু লা সফর সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সোমবার চিনা মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘দু’পক্ষের মধ্যে যে সব ঐতিহাসিক চুক্তি এবং সমঝোতা রয়েছে, সেগুলির ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে যৌথ ভাবে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতেই চিন ইচ্ছুক।’’ শুধু চিনা মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং-এর গলায় নয়, ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে এ দিন ইতিবাচক সুর শোনা গিয়েছে চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসেও। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে ভারতের কঠোর সমালোচনা করতে অভ্যস্ত যে সংবাদপত্র, সেই গ্লোবাল টাইমস এ দিন চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ-এর বিশেষজ্ঞ কিয়ান ফেং-কে উদ্ধৃত করে নির্মলা সীতারামনের সফর সম্পর্কে লিখেছে, ‘‘দ্বিপাক্ষিক বন্ধন মেরামত করা এবং সম্পর্ককে স্বাভাবিকতার পথে ফেরানোর প্রশ্নে এই শুভেচ্ছা একটা ভাল সঙ্কেত পাঠিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy