টানেলের জল ছাড়লে প্লাবিত হতে পারে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। ছবি: সংগৃহীত।
ব্রহ্মপুত্রের জল নিজেদের দেশের মরুভূমিতে নিয়ে যেতে চায় চিন। তার জন্য বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল গড়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছে সে দেশের সরকার। যদিও মঙ্গলবার সরকারি ভাবে এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছে চিন।
হংকংয়ের ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ জানিয়েছে, তিব্বতের সাংগ্রি প্রদেশ থেকে চিনের শিনঝিয়াংয়ের টাকলামাকান মরুভূমিতে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টানেল গড়ার প্রকল্প জমা পড়েছে চিন সরকারের কাছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই সেই প্রকল্পে সায় দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এই প্রকল্পের বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর তা অস্বীকার করে মুখ খুলেছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইংয়ের দাবি, “এটি ভুয়ো খবর। একেবারেই মিথ্যে রিপোর্ট।”
আরও পড়ুন
ক্ষেপণাস্ত্র ভুলে প্রসাধনী নিয়ে মাতলেন কিম!
ইউপিএসসি পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে গ্রেফতার আইপিএস অফিসার!
ট্রেনে বাংলাদেশ যেতে এ বার বিমানের মতোই ব্যবস্থা
চিন সরকার ওই প্রকল্পে সায় দিলে ব্রহ্মপুত্রের জলপথই ঘুরে যাবে। ওই টানেল তৈরি হলে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় খরা দেখা দিতে পারে। আবার টানেলের জল ধরে রাখার পর তা একসঙ্গে ছাড়লে বন্যায় ভেসে যাতে পারে ওই এলাকা।
তবে কেন ওই প্রকল্পে সায় দিচ্ছে না চিন? চিনের এক সরকারি আধিকারিকের মতে, “ওই এলাকায় টানেল তৈরি হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া, আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি ডলার অর্থমূল্যের প্রকল্পের ব্যয়ভার বহন করা নিয়েও দ্বিধায় রয়েছে চিন।”
২০১০ সালে তিব্বতের ঝাংমু প্রদেশে বাঁধ গড়া নিয়ে আপত্তি জাহির করে ভারত। কারণ, সেখানকার বাঁধের জল ছাড়লে তাতে ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। সে সময় ভারত সরকারকে চিন আশ্বাস দিয়েছিল, ওই এলাকায় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বাঁধ গড়া হবে। কিন্তু, এমন কোনও বাঁধ গড়া হবে না যা থেকে জল ছাড়তে হবে। কিন্তু, প্রস্তাবিত টানেল গড়া হলে সেই আশ্বাস ভাঙবে চিন।
চিনের এক বিশেষজ্ঞ ঝাং চুয়ানপিংয়ের মতে, “আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এই প্রকল্পে রাজি হতে পারে চিন। কারণ, ওই সময়ের মধ্যে প্রকল্প গড়ার প্রযুক্তির পাশাপাশি অর্থেরও জোগান হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy