‘জিমু নং ১’ ছবি: সংগৃহীত
কোনও পর্বতারোহী নন, এভারেস্টের চূড়া ছেড়ে আরও উপরের দিকে উড়ে গেল একটি আকাশযান। চিনের ‘আর্থ সামিট মিশন ২০২২’-এর অন্তর্গত একটি আকাশযান পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রসমীক্ষা করতে আকাশে পাড়ি দেয়। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের উচ্চতাকেও টপকে গিয়ে নজির ভাঙল চিন।
আবহবিদরা সাধারণত ‘ওয়েদার বেলুন’-এর মাধ্যমে পরিবেশগত তথ্য সংগ্রহ করেন। ভূভাগ থেকে জলীয় বাষ্পের পরিবহণ প্রক্রিয়াও এই পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণ করা যায়। এই বেলুনগুলো আকাশের অনেক উঁচুতে থেকেই তথ্য সংগ্রহ করে সহায়তা করে।
কিন্তু এই বছর অন্য পদ্ধতি প্রয়োগ করল চিন। প্রায় ২,৩৮১ কিলোগ্রাম ওজনের একটি আকাশযান ৪,৩০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত একটি বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করে। চিন এই আকাশযানের নাম দিয়েছে ‘জিমু নং ১’। প্রতি সেকেন্ড সময়ে ৩০ মিটার গতিবেগে এই যানটি ৯,০৩২ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত ওড়ে। ফলে তা এভারেস্টের উচ্চতাকেও (৮,৮৪৯ মিটার) ছাপিয়ে যায়।
বাতাসে কত পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ব্ল্যাক কার্বন, ধুলোবালির উপস্থিতি রয়েছে তা পরিমাপ করাই এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য। চিনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তিব্বত প্লেটের পরিবেশ বদলের কারণের পিছনে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব পড়ছে।
চিন এভারেস্টে ওজোন গ্যাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে একটি অভিযান চালায়। বেস ক্যাম্প থেকে এক ধরনের বেলুন ছাড়া হয় যা ৫,২০০ মিটার উচ্চতা অবধি পৌছয়। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস্ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মুখ্য অধ্যাপক জু টং জানিয়েছেন, ‘‘স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে যত বেশি ওজোন গ্যাস থাকবে, তত ভাল। আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি আটকে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এই গ্যাস যত নীচের দিকে নামতে থাকে, ততই ক্ষতিকর। এর ফলে মানুষের শ্বাসতন্ত্রে বিভিন্ন রোগ বৃদ্ধি হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy