Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Afghanistan

Taliban: তালিবানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ মজবুত করতে প্রস্তুত, এ বার সরাসরিই ঘোষণা চিন সরকারের

আফগান তো বটেই, সে দেশের বিদেশি নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও তালিবানের প্রতি আহ্বান করেছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক।

ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২১ ১৯:৫৭
Share: Save:

আফগানিস্তানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার সম্পর্ক’ মজবুত করতে প্রস্তুত চিন। কাবুলে ক্ষমতা দখলকারী তালিবানের প্রতি এ বার সরাসরি বার্তা শি চিনফিং সরকারের। পাশাপাশি আফগান-সহ সে দেশের বিদেশি নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও তালিবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক।

কাবুলের ক্ষমতা দখলের আগে থেকেই অবশ্য আফগানিস্তানের তালিবানের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ বজায় রেখেছে চিন সরকার। গত মাসে বেজিং গিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করেন তালিবান প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বরাদর। প্রসঙ্গত, চিন সীমান্তের ৭৬ কিলোমিটার এলাকা আফগানিস্তানের সঙ্গে ঘেঁষা। বেজিংয়ের আশঙ্কা ছিল, উত্তর-পশ্চিম চিনের শিনজিয়াংয়ে স্পর্শকাতর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করতে পারে চিনের সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের বিচ্ছিন্নবাদীরা। তবে গত মাসের ওই বৈঠকে বেজিংকে আশ্বস্ত করে তালিবান জানিয়েছিল যে জঙ্গিদের আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে না। এর পরিবর্তে আফগানিস্তানের উন্নয়নে যাবতীয় অর্থনৈতিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল চিন।

সোমবার সংবাদমাধ্যমে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ‘‘চিনের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তালিবান। আফগানিস্তানকে নতুন করে গড়তে এবং তার উন্নয়নেও চিনের অংশগ্রহণের কথা বলেছে তারা।’’ তালিবানের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’-এর গড়ার ইঙ্গিত দিলেও একই সঙ্গে চুনইং বলেছেন, ‘‘আফগান নাগরিকদের অধিকারকে সম্মান করে চিন। যার মাধ্যমে তাঁরা স্বাধীন ভাবে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন।... সেই সঙ্গে স্বেচ্ছায় আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতেও আগ্রহী চিন।’’

কূটনৈতিক কৌশলে তালিবানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেও এর পিছনে অন্য কারণ দেখছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তাদের মতে, তালিবানের সঙ্গে সুসম্পর্কে ঝুঁকির পাশাপাশি ফায়দাও দেখছে চিন। পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্থিতাবস্থা বজায় রাখাই চিনের মূল উদ্দেশ্য। কারণ, ভৌগোলিক অবস্থানের জেরে আফগানিস্তানের সীমান্তঘেঁষা এলাকা সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে তালিবানের আশ্বাস ছাড়াও পাকিস্তানে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে পরিকাঠামোগত বিনিয়োগও নিশ্চিন্তে করতে পারবে চিন। এবং কাবুলে স্থিতাবস্থার পরিবেশ তৈরি হলেই আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে দিয়ে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিশ্চিন্ত হতে পারে চিন।

অন্য বিষয়গুলি:

Afghanistan taliban China Kabul Xi Jinping
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy