— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিশ্বের অন্য শহরগুলির মতোই আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে সরব হয়েছিলাম আমরাও। অস্টিন-টেক্সাসের পথে প্রতিবাদেও নেমেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ দু’মাসেও ন্যায়বিচার অধরা থাকায়, দুর্গাপুজোকেও প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে দ্বিধা করেননি বাংলার মানুষ। প্রবাসী বাঙালিরাও।
প্রতি বছরের মতো কিছু নামী শিল্পীকে এ বারও শারদোৎসবের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যাঁর মধ্যে ছিলেন গায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রীও। প্রতিবাদকে ভাষা দিতে সব ঠিক হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সেই অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট্রাল টেক্সাস বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন (সিটিবিএ)। শিল্পীর প্রতি কোনও ব্যক্তিগত অসূয়া আমাদের নেই, কিন্তু তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধি হওয়ায় তাঁর অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। মন ভাল নেই। কিন্তু মায়ের আগমনে মুখ ফিরিয়ে থাকাও মুশকিল। তাই আর জি কর কাণ্ডকে মাথায় রেখেই ছাঁটকাট করে পালন হচ্ছে এ বারের দুর্গোৎসব।
অস্টিনে পুজোর শুরু ১৯৯১ সালে। স্থানীয় ১৭টি পরিবারের উদ্যোগে ঘরোয়া পরিবেশে শুরু হওয়া ওই পুজো এ বছর ৩৪ বছরে পা দিয়েছে। বর্তমানে সিটিবিএ সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় দু’শো পরিবারে এসে পৌঁছেছে। ‘‘ফি বছরের মতো এ বারও পুজোর ঘরোয়া আন্তরিক পরিবেশ ধরে রাখার চেষ্টা করছি’’, বললেন সভাপতি দিব্যজ্যোতি ভট্টাচার্য। পুজোর কাছাকাছি শনি-রবিবারে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে বিচিত্রানুষ্ঠান শুনতে ভিড় করেন দূরের ও কাছের বাঙালিরা। পুজোর চার দিন কেটে গেলেই আবার এক বছরের প্রতীক্ষা। আশা করব আগামী বছর মায়ের আগমনের আগে যথার্থ বিচার পাবেন আর জি করের নির্যাতিতা। নাশ হবে সমস্ত অশুভ শক্তির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy