Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Britain

Britain: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সব বিধি সরিয়ে ব্রিটেন কি ‘স্বাধীন’ হবে এ সপ্তাহেই

আমেরিকাতেও এক-এক করে বিভিন্ন প্রদেশ বিধিনিষেধ তুলে দিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি-মার্চে মধ্যে কমবেশি সব প্রদেশে কড়াকড়ি আর থাকবে না।

এ বার থেকে কোভিড পজ়িটিভ হলেও আর কাউকে বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হবে না।

এ বার থেকে কোভিড পজ়িটিভ হলেও আর কাউকে বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হবে না। রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৩২
Share: Save:

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) রীতিমতো বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, এখনই সব কোভিড-বিধি তুলে দেওয়া বিপজ্জনক হবে। যদিও সেই বিপদবার্তা উড়িয়ে ‘স্বাধীনতার’ পথেই হাঁটতে চাইছে ব্রিটেন। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শীঘ্রই সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। শোনা গিয়েছে, সেই মতো এ সপ্তাহে কোভিড-বিধি তুলে দেওয়া হবে ব্রিটেনে। এ বার থেকে কোভিড পজ়িটিভ হলেও আর কাউকে বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হবে না।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে এ খবর। ব্রিটেন যদি সত্যিই কোভিড-বিধি সম্পূর্ণ তুলে দেয়, সে ক্ষেত্রে তারাই হবে ইউরোপের প্রথম বড় অর্থনীতি, যারা এই কাজ করবে। ফের আগের মতো মানুষ মাস্ক না পরেই দোকান-বাজারে যেতে পারবেন। স্কুল-কলেজ-অফিসে যেতে বাধা থাকবে না। সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থাতেও কোনও নিয়ম থাকবে না।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকেই ব্রিটেন সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে শঙ্কিত। কোভিড হলেও বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হবে না, রোগী রাস্তাঘাটে বেরোতে পারবেন, মাস্কও পরতে হবে না। সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ শুরু হলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কোনও বাধা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বক্তব্য, ‘‘কোভিড হঠাৎ করে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না। এই ভাইরাসের সঙ্গেই আমাদের বাঁচতে শিখতে হবে। নিজেদের স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকা আটকে না রেখেই নিজেদের রক্ষা করতে হবে।’’

তবে সব নিয়ম উঠে গেলে কী ভাবে নিজেদের রক্ষা করা যাবে, তা স্পষ্ট করে জানাননি বরিস। বরং এ-ও শোনা যাচ্ছে, এত দিন যে বিনামূল্যে করোনা-পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল, তা-ও হয়তো তুলে দেবে সরকার। এ অবস্থায় একটি বিষয়েই ব্রিটেনের খুঁটি শক্ত— তা হল, ১২ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে থাকা বাসিন্দাদের ৮৫ শতাংশের টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে। জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের তৃতীয় ডোজ়ও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে পুরনো জখম এখনও টাটকা। রাশিয়ার পরে ইউরোপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রিটেন। ২৮ দিনে ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে এই দেশ। তাই কোভিড-বিধি তুলে নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে অনেকেই চিন্তায়।

হু-র আরও চিন্তা, প্রথম সারির দেশগুলিকে অনুসরণ করে আরও কত দেশ এই পথে হাঁটবে। আমেরিকাতেও এক-এক করে বিভিন্ন প্রদেশ বিধিনিষেধ তুলে দিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি-মার্চে মধ্যে কমবেশি সব প্রদেশে কড়াকড়ি আর থাকবে না। সামনে মিড-টার্ম নির্বাচন আমেরিকায়। ‘স্বাধীন’ হতে চাওয়া দেশবাসীকে সরকার আর করোনা-বিধিতে বেঁধে রাখতে চাইছে না এ দেশেও। না-হলে ভোট ব্যাঙ্কের ক্ষতি।

ফ্রান্সেও টিকাবিরোধী বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এ দেশে টিকা নেওয়া আবশ্যিক করা হয়েছে কানাডার মতো। টিকা নেওয়া না থাকলে রেস্তরাঁ, থিয়েটার-সহ বহু জায়গায় প্রবেশ নিষেধ। কানাডায় টিকা নেওয়া না থাকায় অনেকে কাজ হারিয়েছেন। সেই নিয়ে এক মাস হল উত্তাল কানাডার রাজধানী অটোয়া। অজ্ঞাতবাসে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কাল, শনিবার থেকে উত্তাপ আরও বেড়েছে। বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ হয়। পেপার স্প্রে ছড়িয়ে ছত্রভঙ্গ করা হয় বিক্ষুব্ধ জনতাকে। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা হামলা করে পুলিশকে। মুখে তাঁদের ‘স্বাধীনতার’ স্লোগান। হাতে স্মোক গ্রেনেড।

অন্য বিষয়গুলি:

Britain Corona virus Covid Covid guidelines
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE