Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

বরিসের আচরণে ‘অপমানিত’ প্রাক্তন প্রেমিকা

চ্যানেলটিতে জনসনের উদ্দেশে জেনিফার বলেছেন, ‘‘আমাকে ‘নিষ্কর্মা’ মনে করে যে ভাবে সরিয়ে দিয়েছো তুমি, তাতে খুব খারাপ লাগছে। জানি না, কেন এ ভাবে আমার সঙ্গে কথা বলার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছো।

জেনিফার আরকুরি

জেনিফার আরকুরি

সংবাদ সংস্থা 
লন্ডন শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৪
Share: Save:

ফের অভিযোগের তির ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দিকে। মার্কিন এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন বরিস তাঁর প্রতি পক্ষপাত করেছিলেন বলে দাবি। রবিবার ব্রিটেনের এক চ্যানেলে জেনিফার আরকুরি নামে ওই মহিলা জানান, বরিসের এখনকার আচরণে তাঁর অত্যন্ত ‘অপমানিত’ লাগছে।

লন্ডনের মেয়রের পদে থাকাকালীন বরিসের সুবাদে জেনিফার বিদেশে অসংখ্য বাণিজ্য-সফর এবং অনুদান পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এখন জেনিফার বলছেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ‘এক রাতের সঙ্গী’ হিসেবে যে ভাবে দেখানোর চেষ্টা করছেন তাতে তিনি ব্যথিত। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত। ডিসেম্বরে ভোটের জন্য বরিস এখন প্রচারে ব্যস্ত। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোগপতি জেনিফার দাবি করেছেন, বিতর্ক শুরু হতেই জনসনের কাছে পরামর্শ চেয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তাতে সাড়া দেননি।

চ্যানেলটিতে জনসনের উদ্দেশে জেনিফার বলেছেন, ‘‘আমাকে ‘নিষ্কর্মা’ মনে করে যে ভাবে সরিয়ে দিয়েছো তুমি, তাতে খুব খারাপ লাগছে। জানি না, কেন এ ভাবে আমার সঙ্গে কথা বলার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছো। মনে হচ্ছে, আমি যেন ‘কোনও বার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া এক রাতের সঙ্গী’ ছিলাম তোমার! আসলে তো সেটা ছিলাম না, তুমি অন্তত জানো! কী ভীষণ অপমানিত লাগছে।’’

২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনের মেয়র ছিলেন বরিস। টিভি চ্যানেলটির দাবি, জেনিফারের সঙ্গে তাঁর চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক ছিল। যদিও জেনিফার নিজেই তা মানতে চাননি। ৩৪ বছরের জেনিফার আমেরিকায় থাকেন। সাক্ষাৎকার দিতে লন্ডনে এসে তাঁর মন্তব্য, ‘‘খবরটা যখন প্রথম ছড়াল, অর্ধেকের বেশি লোকজন বলেছিল, গোটা বিষয়টা অস্বীকার করো। বাকিরা বলেছিল, সম্পর্ক ছিল, সেটা বলো।’’

জেনিফারের সঙ্গে বরিসের যে সময়ে সম্পর্ক ছিল বলে দাবি, তখন তিনি বিবাহিত। পরে কনজ়ারভেটিভ পার্টির কেরি সাইমন্ডসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে স্ত্রীকে ছেড়ে যান জনসন। কেরির সঙ্গেই এখন ডাউনিং স্ট্রিটে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। জেনিফারকে নিয়ে বিতর্ক ছড়ানোর পরে বরিস প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন, তাঁর ওই কাজের মাধ্যমে স্বার্থের কোনও সংঘাত হয়েছিল বলে তিনি মনে করেন না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সে ব্যাপারে কিছু জানানোর প্রয়োজন ছিল বলে তাঁর মনে হয়নি।

বরিস মেয়র থাকাকালীন জেনিফারকে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ডলার (ভারতীয় মূল্যে ১১ কোটি ৬৮ লক্ষের কাছাকাছি) দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। তিনটি বিদেশি বাণিজ্য সংস্থায় তাঁকে সুবিধা দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। বরিসের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই সব কিছু হয়েছিল। কনজ়ারভেটিভ পার্টির তরফে বলা হচ্ছে, ‘গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচনের আগে লেবার পার্টি এ সব করছে।’

অন্য বিষয়গুলি:

UK Boris Johnson Jennifer Arcuri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy