ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস জনসন। ছবি: এএফপি।
স্কটিশ কোর্টে প্রশ্নটা উঠেছিল গত কালই। পাঁচ সপ্তাহের জন্য ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করানোর জন্য রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথকে কি বিভ্রান্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন? আজ সেই বিতর্কের মুখে ফের তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করার জন্য তিনি কি রানিকে মিথ্যে বলেছিলেন? বরিস বলেছেন, ‘‘মিথ্যে বলিনি। ইংল্যান্ডের হাইকোর্ট আমাদের সঙ্গে একমত। সুপ্রিম কোর্ট এখন কী বলে, সেটা দেখতে হবে।’’ আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে রায় দেবে। পার্লামেন্ট সাসপেন্ড নিয়ে মোট তিনটি মামলা চলছে।
পার্লামেন্ট সাসপেন্ডের ক্ষমতা থাকে রানিরই হাতে। রানি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রীতি মেনে সিদ্ধান্ত নেন। এ ক্ষেত্রে তাই বরিসের ভূমিকাই আতসকাচের নীচে। সরকারি দাবি, পার্লামেন্ট সাসপেন্ড রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আইন ভেঙে কিছু করা হয়নি।
আপাতত চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তায় গোটা দেশ। বিরোধী দল লেবার পার্টি বলছে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে পার্লামেন্ট বন্ধ থাকাটা খুবই উদ্বেগের। চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে সবচেয়ে বড় কী কী ক্ষতি হতে পারে, তার খতিয়ান রয়েছে ‘অপারেশন ইয়েলোহ্যামার’-এ। এই নথিতে বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবর কোনও চুক্তি ছাড়া ব্রিটেন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যায়, তা হলে গোটা দেশে তৈরি হবে রাজনৈতিক অস্থিরতা। প্রতিবাদ-পাল্টা প্রতিবাদে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হবে। প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ওষুধ এবং বিশেষ খাবার আমদানির পথেও তৈরি হবে চূড়ান্ত জটিলতা। ফলে ব্রিটেনে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে। ইংলিশ চ্যানেল পেরোতে পণ্যবাহী লরিগুলোর আড়াই দিনের বেশি সময় লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।
চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে প্রস্তুতির ভার যাঁর হাতে, বরিসের সেই ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মাইকেল গোভ বলেছেন, ওই নথি পুরনো। তাঁরা এখন যে ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তার কোনও চিহ্ন নেই ‘অপারেশন ইয়েলোহ্যামার’-এ। যদিও লেবার পার্টির অভিযোগ, ‘‘সরকার দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করছে।’’ বরিসের দাবি, ‘‘বাস্তবে আমরা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের জন্য তৈরি। তবু এখনও বলছি, সেটা হোক, আমরা চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy