গায়িকা বিলি আইলিশ ছবি সংগৃহীত
তখন কতই বয়স, মাত্র এগারো বছর। সেই সময় থেকে পর্ন দেখা শুরু করেন আমেরিকার গায়িকা-গীতিকার বিলি আইলিশ। কেমন তাঁর সেই অভিজ্ঞতা? ভয়ঙ্কর না কি সুখকর? এক রেডিও সাক্ষাৎকারে তাঁর সেই অভিজ্ঞতার কথা অকপট ভাবে জানিয়েছেন গ্র্যামি পুরস্কার বিজেতা আইলিশ।
সদ্য ২০ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। রেডিও সাক্ষাৎকারে বিলি বলেন,‘‘১১ বছর বয়স থেকে প্রচুর পর্ন দেখতাম।’’ তার ফল কী ভয়ঙ্কর হয়েছে, তা-ও তিনি জানিয়েছে সেই সাক্ষাৎকারে। বিলি বলেন, ‘‘আমার অভিজ্ঞতা ঠিক দুঃস্বপ্নের মতো ভয়ঙ্কর। প্রচুর পর্ন দেখার ফলে আমার মস্তিষ্ক বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে।’’
তাঁর মতে, পর্ন বাস্তবে যৌনতার সময় স্বাভাবিক সম্পর্কের ধারণাগুলো ‘শেষ করে’ দেয়। তবে, সেই সময় পর্ন তাঁর কাছে খুব আর্কষণীয় মনে হয়েছিল। প্রতিদিনই বেশি বেশি করে আকৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, যৌনতাকে আরও উপভোগ্য করতে এগুলি দেখা উচিত। তাঁর ভুল ভাঙে পরে। বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তিনি বুঝতে পেরেছেন, কত ভুল ছিল তাঁর এই ধারণা। মাকেও জানিয়েছিলেন তাঁর এই পর্ন আসক্তির কথা। শোনার পর তাঁর মা ‘আতঙ্কিত’ হয়ে পড়েন।
বস্তুত, অল্প বয়সে পর্ন আসক্তি নিয়ে সর্তক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর ফলে স্বাভাবিক যৌনজীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ১৯০টি দেশে শিশুদের জীবন ও অধিকার রক্ষা সুনিশ্চিত করতে কর্মরত সংগঠন ইউনিসেফ-এর মতে, পর্ন আসক্তি মানসিক স্বাস্থ্যে ও যৌনতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যৌনহিংসারও কারণ হতে পারে এটি।
২০১৬ সালে তাঁর গান ‘ওসান আইস’-কে কেন্দ্র করে আলোকবৃত্তে আসেন বিলি আইলিশ। গানটি ভাইরাল হয়। ইতিমধ্যে সাতটি গ্র্যামি পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy