Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ক্ষুব্ধ আমেরিকা

মার্কিন কংগ্রেসের কমিটি বৈঠকে বসার আগেই অবশ্য কড়া সমালোচনার ইঙ্গিত ছিল।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা 
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৩৪
Share: Save:

হাউডি মোদী কিংবা নিউ ইয়র্কের মৈত্রীর ছবিতেও চাপা পড়ল না কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন ক্ষোভ। মঙ্গলবার কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানির প্রথম দু’ঘণ্টায় আমেরিকা যে ভাবে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে, তা সাম্প্রতিক অতীতে নজিরবিহীন। ১৯৯৮ সালে পরমাণু পরীক্ষার পর এই প্রথম ভারতের এত কড়া সমালোচনা করল আমেরিকা। শুনানির প্রথমার্ধে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সুর চড়ানোর পরে দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় সাক্ষীদের বক্তব্য শোনে কমিটি।

মার্কিন কংগ্রেসের কমিটি বৈঠকে বসার আগেই অবশ্য কড়া সমালোচনার ইঙ্গিত ছিল। কারণ, বিদেশ দফতরের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিভাগীয় কর্তা অ্যালিস জি ওয়েলস যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন, তাতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যে কতটা আতঙ্কজনক, তার বর্ণনা ছিল। ওয়েলসের বক্তব্য, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের বিষয়ে ওয়াশিংটনের কিছু বলার নেই। মাথাব্যথার কারণ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি। কাশ্মীরিদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন তাঁরা। আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি, কার্ফু রদ, ইন্টারনেট ও টেলি যোগাযোগ চালু করা নিয়ে সওয়াল করেন ওয়েলস।

বৈঠকে সাব কমিটির চেয়ারম্যান ব্র্যাড শেরম্যানের অভিযোগ, বহু বিদেশি সাংবাদিকের মতোই কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সেনেটর ভ্যান হলেনকেও। ক্ষুব্ধ শেরম্যান বলেন, ‘‘যারা আমাদের কূটনীতিকদের (কাশ্মীরে) প্রবেশাধিকারটুকুও দেয়নি, সেই ভারত সরকারের আধিকারিকদের আদৌ বিশ্বাস করা যায়?’’ কাশ্মীরে বেছে বেছে বিদেশি সাংবাদিকদের আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ডেভিড ট্রোন। মার্কিন কূটনীতিকদের কাশ্মীরে প্রবেশে বাধা দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানান ভার্জিনিয়ার ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গার। বলেন, ‘‘সামরিক ক্ষেত্র থেকে ব্যবসা—সব কিছুতেই ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা। আজ তারাই মার্কিন কূটনীতিকদের কাশ্মীরে ঢুকতে দিচ্ছে না। মার্কিন প্রশাসন কী ভাবে এটা মানছে?’’

ভারতীয় বংশোদ্ভূত সেনেটর প্রমীলা জয়পাল কাশ্মীরে আটক এক প্রৌঢ়ের কথা শুনিয়েছেন। শারীরিক সমস্যা সত্ত্বেও যাঁকে একটানা আটক রাখা হয়। জম্মু-কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন প্রধান মুবিন শাহের কথাও তোলেন তিনি। ৫ অগস্ট থেকে আটক মুবিনকে পরে অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর দাবি, মুবিনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল ভারত। তবে মুবিনের পরিবার ও চিকিৎসকের পাঠানো তথ্যে এর প্রমাণ মেলেনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy