ভারতের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন কুরেশি। —ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি রাষ্ট্রপুঞ্জ। তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তা যে একেবারেই সহজ হবে না, সে কথা মেনে নিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। জানিয়ে দিলেন, হাতে মালা নিয়ে পাকিস্তানের জন্য দাঁড়িয়ে নেই রাষ্ট্রপুঞ্জ। এমনটা আশা করাও ভুল।
রবিবার পাকিস্তানের পিটিভিতে শাহ মেহমুদ কুরেশির একটি সাংবাদিক বৈঠক সম্প্রচারিত হয়। সেখানে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং রাজ্য ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। ভারতের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে কতটা এগনো গিয়েছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। জবাবে কুরেশি বলেন, ‘‘আবেগ প্রকাশ করা খুব সহজ। তার চেয়েও সহজ কোনও কিছুর বিরোধিতা করা। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে, ঠিক মতো এগনো অনেক কঠিন কাজ। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ হাতে মালা নিয়ে আমাদের স্বাগত জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে নেই। পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে যে কেউ, যে কোনও মুহূর্তে বেঁকে বসতে পারে। তাই মুর্খের স্বর্গে বাস না করাই উচিত।’’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চিন, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এই পাঁচটি দেশ। তাদের মধ্যে গত শনিবারই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও ওই রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে তারা। অন্য দিকে, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে চান বলে কিছু দিন আগে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ ইসলামাবাদ। বরং ইসলামিক দেশগুলিকে পাশে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে একটি প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। কিন্তু তাতেও রাতারাতি কিছু হওয়া সম্ভব নয়। শাহ মেহমুদ কুরেশি দেশবাসীকে সেই বার্তাই দিয়েছেন বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞায় এখনই হস্তক্ষেপ নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন: আত্মীয়কে ফোন করাই হোক বা রেশন নিয়ে ক্ষোভ, এই দুই মহিলার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে উপত্যকা
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের পরই গত সপ্তাহে বেজিং ছুটেছিলেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। বরাবরের মতো চিন তাদের পাশে রয়েছে বলে সেই সময় জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিন দিনের চিন সফরে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোমবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাশ্মীর নিয়ে সংবিধানের অস্থায়ী একটি অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়েছে, যা পুরোপুরি ভাবে নয়াদিল্লির অধিকারের মধ্যে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy