—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকার জনবহুল শহর আটলান্টায় অসংখ্য বাঙালির বাস। এ বছর আটলান্টায় দশটিরও বেশি পুজো হচ্ছে। এক-একটি সংগঠন এক-একটি চমকের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যেমন, ‘নন্দন’। কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, জর্জিয়া প্রদেশে সর্ববৃহৎ মূর্তি তাঁদেরই। ন’ফুট উঁচু মূর্তি, চালচিত্র নিয়ে ১১ ফুট। ‘পূর্বাশা’ চন্দননগরের ১৪ ফুট উঁচু ‘লাইটের প্যান্ডেল’ করবে। ‘বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার আটলান্টা’র এ বারের পুজোর থিম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। পুজোয় সবাইকে শামিল করতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘পূজাপরিষদ’। নবমীর পুজোটি তারা তিথি মেনেই করবে, কিন্তু পুজোর আমেজ দীর্ঘকালীন করতে তার পরের সপ্তাহান্তে দু’দিন ধরে ‘দুর্গোৎসব’-এর আয়োজন করা হবে। দশমীতে বরণের জন্য নতুন ধরনের বন্দোবস্ত করছে ‘পূজারী’। প্রবাসে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা নেই। পুজো শেষে সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ‘স্টোরেজে’। সেই প্রতিমাকে সিঁদুর পরানো, মিষ্টিমুখ করানো, কিছুই সম্ভব হয় না। সেই সাধ পূরণ করতে বরণের জন্য ‘পুজারী’র উদ্যোক্তারা দেশ থেকে ডোকরার দুর্গামূর্তি এনেছেন। সেই মূর্তিতে মাকে সিঁদুর দিতে এবং মিষ্টিমুখ করাতে বাধা থাকবে না।
‘আটলান্টা বেঙ্গলি ফোরাম’ মণ্ডপসজ্জায় যত দূর সম্ভব নিজেদের হাতে তৈরি জিনিস ব্যবহার করতে চান। ‘জর্জিয়া বেঙ্গলি ফোরাম’-এর পুজোয় কোনও ‘প্রবেশ মূল্য’ নেই। ‘হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন অব জর্জিয়া’ এ বছর দর্শনার্থীদের বেলগাছের চারা বিতরণ করবেন। সঙ্গে পরামর্শ থাকবে যে, শীতকালে টব যেন ঘরের ভিতরে রাখা হয়। ‘বেঙ্গলি পূজা অ্যাসোসিয়েশন’ জানালেন তাঁরা মণ্ডপ তৈরি করবেন তাঁবু ও কাঠের ফ্রেম দিয়ে। আর ‘পুষ্পাঞ্জলি’র পুজোয় ‘চাঁদা নেই, খাবার অফুরন্ত’।
এই সপ্তাহান্তে ‘পূজারী’র দুর্গাপুজো দিয়ে শুরু হবে উৎসব। পুজো নিয়েই অক্টোবর মাসটা হইহই করে কেটে যাবে আটলান্টাবাসীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy