Advertisement
১৭ অক্টোবর ২০২৪
Bangladesh

আট জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে, তালিকার সিংহভাগই শেখ হাসিনার পরিবারের স্মরণীয় তারিখ

শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিবস এবং মৃত্যুদিবসকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তালিকায় রয়েছে হাসিনার মায়ের জন্মদিবস, দুই ভাইয়ের জন্মদিবসও।

(বাঁ দিকে) বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৫৩
Share: Save:

শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ঘোষিত হওয়া আটটি জাতীয় দিবসকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় দিবসের তকমা হারানোর তালিকায় থাকা দিনগুলির সিংহভাগই হাসিনার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীঘ্রই এই দিনগুলি জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয় দিবসের তকমা হারানোর তালিকায় রয়েছে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। ১৫ অগস্ট মুজিবরের মৃত্যুবার্ষিকী, ৮ অগস্ট হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন, ৫ অক্টোবর হাসিনার ভাই শেখ কামালের জন্মদিন এবং ১৮ অক্টোবর হাসিনার অপর ভাই শেখ রাসেলের জন্মদিনকেও জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রমনায় মুজিবরের ভাষণকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছিল হাসিনার সরকার। সেটিকেও বাতিল করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছিল হাসিনার আওয়ামী লিগ শাসিত সরকার। ওই দু’টি দিনকেও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরেই বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। যা পরবর্তী পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রূপ নেয়। প্রায় দু’মাস ধরে চলা আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে হয় হাসিনাকে। বাধ্য হন দেশ ছাড়তে। আপাতত অর্থনীতিবিদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে রয়েছে বাংলাদেশের শাসনভার। নতুন করে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh Sheikh Hasina Muhammad Yunus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE