মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা মতো ছ’টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হল। কিন্তু তার একটিতেও রইলেন না সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা! যা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। পাশাপাশি, ছ’টি সংস্কার কমিশনে মহিলাদের প্রতিনিধিত্বও ‘অনেক কম’ বলে অভিযোগ উঠল।
গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ৮ অগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইউনূস। ১১ সেপ্টেম্বর তিনি ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসন, দুর্নীতি দমন পদ্ধতি এবং জনপ্রশাসন ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে ছ’টি কমিশন গঠন করা হবে। সে সময়ই ওই ছ’টি কমিশনের প্রধানদের নাম জানিয়েছিলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সম্প্রতি ছ’টি কমিশনের মোট ৫০ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ৯১ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার ওই দেশে সংবিধান ও আইন সংস্কারের প্রক্রিয়ায় প্রায় ৯ শতাংশ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই! বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমা জনগোষ্ঠীর নেতা দেবাশিস রায়। ইউনূসকে খোঁচা দিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘সংস্কার কমিশনে আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, নারী এবং অন্যান্য প্রান্তিক বা সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা হয় সম্পূর্ণ ভাবে অনুপস্থিত বা দৃশ্যমান ভাবে অপর্যাপ্ত। এটা একজন নোবেলজয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy