(বাঁ দিকে) মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনা (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই বাংলাদেশে ভোট হবে। শেখ হাসিনার সরকার সেই আইন বদলে যে নতুন সংশোধনী আইন এনেছিল, তার কিছু অংশ বাতিল করল বাংলাদেশের হাই কোর্ট। শেখ হাসিনার সেই সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পিটিশন জমা পড়েছিল হাই কোর্টে। তা নিয়েই এই রায় দিয়েছে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশিস রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন চালু করে হাসিনার সরকার। সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়। তার আগে বাংলাদেশে ওই ব্যবস্থা চালু ছিল। ভোটের সময় দেশের ক্ষমতা থাকত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। সেই ব্যবস্থাই বন্ধ করে সংশোধনী আইন আনে হাসিনার সরকার। সেই আইনে এ-ও বলা হয় যে, অসাংবিধানিক ভাবে ভোট ছাড়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। অভিযুক্তকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানে আগে বলা ছিল, সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দেশে ভোট করাতে হবে। হাসিনার আনা নতুন সংশোধনী আইনে বলা হয়, সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগে শেষ ৯০ দিনে ভোট করাতে হবে। ২০১১ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাশ হয়। ৩ জুলাই সেই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এই পঞ্চদশ সংশোধনী আইনকে চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছর ১৮ অগস্ট হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। দাখিল করেছিলেন এক মুক্তিযোদ্ধা। এই আইনের ১৬টি ধারার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। পরে মামলায় যুক্ত হয় বিএনপি, গণফোরাম, বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামি-সহ কয়েকটি সংগঠন। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে হাসিনা সরকারের সেই সংশোধনী আইনের কিছু অংশ বাতিল করেছে হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy