আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। —ফাইল চিত্র।
ইজ়রায়েলের একের পর এক হামলার পর প্রথম মুখ খুললেন ইরানের শীর্ষনেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। তাঁর কথায় নেই পাল্টা আক্রমণের সুর। তবে তিনি ইজ়রায়েলি হামলাকে ‘ছোট’ করে দেখতে নারাজ। ইজ়রায়েলি হামলার পর কী করা উচিত, তা দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হাতেই ছাড়লেন খামেনেই।
গত শনিবার ভোরে দু’দফায় ইরানের রাজধানী তেহরান এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। বিমান থেকে ছুটে এসেছিল একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র। সেই হামলার পরই নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয় পশ্চিম এশিয়ায়। ইরান সরকারের অন্য কর্মকর্তারা পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিলেও খামেনেই কিছুটা সংযতই থাকলেন। তিনি বলেন, ‘‘দু’দিন আগে ইজ়রায়েলি হামলাকে কখনওই ছোট বা অতিরঞ্জিত করে দেখা উচিত নয়।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘ইজ়রায়েলি শাসকদের ভ্রান্ত ধারণা দ্রুত শেষ হবে। ইরানের মানুষ, যুবশক্তির ইচ্ছা এবং উদ্যোগকে তাঁদের বোঝা উচিত।’’ সরাসরি ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার হুমকি থেকে বিরত থেকে খামেনেই জোর দেন ইরানের প্রভাব বিস্তারের দিকে। শেষে তিনি এ-ও বলেন, ‘‘ইরানের কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করছে তাঁরা কী ভাবে দেশের জনগণের ইচ্ছা এবং শক্তিকে ইজ়রায়েলের কাছে পৌঁছে দেবেন। আমি আশা করি তাঁরা জাতি এবং দেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
উল্লেখ্য, শনিবারের হামলার পর ইরান জানিয়েছিল, ইজ়রায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে হামলায় তাদের খুব বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। ‘সামান্য কিছু ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে বলে দাবি ছিল তাদের। জানিয়েছিল, ইরানের দু’জন সেনা ইজ়রায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন। ইজ়রায়েলি হামলার পরই আসরে নামে আমেরিকা। তারা দাবি করে, ইরানের জ্বালানি এবং পারমাণবিক কেন্দ্রে আঘাত না করার জন্য ইজ়রায়েলকে নিষেধ করেছে। এমনকি, পশ্চিমি দুনিয়ায় চলতে থাকা উত্তেজনা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে পাশাপাশি ইরানকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। যাতে পাল্টা হামলার পথে না হাঁটে তেহরান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy