লিটল ইন্ডিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ (ডানদিক থেকে দ্বিতীয়) তাঁর সঙ্গিনী জোডি হেইডন এবং অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট সদস্য অ্যান্ড্রু সার্লটন (ডানদিকে)। ছবি : টুইটার।
এক মাস আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতীয় খাবার চেখে দেখার। বন্ধুরা যেমন ভাল খাবারের সন্ধান দেয়, সে ভাবেই বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজকে কেউ ভারতের রাস্তার ধারের খাবার খাইয়ে আনুন! একমাস পর ‘বন্ধু’ মোদীর সেই পরামর্শ শুনলেন অ্যালবানিজ। ভারতীয় চাট থেকে শুরু করে নানা রকম রাস্তার ধারের খাবার একে একে চেখে দেখলেন তিনি। আর শেষে ঘোষণা করলেন বিজেতাও।
সিডনির হ্যারিস পার্ক এলাকার নাম বদলে সম্প্রতিই রাখা হয়েছে লিটল ইন্ডিয়া। ভারতীয় অধ্যূষিত এই এলাকাকে সিডনির ভারতী খাবারের পিঠস্থান বলা হয়। চাট, সিঙাড়া, ফুচকা থেকে শুরু করে সবরকম রাস্তার ধারের খাবার পাওয়া যায় এই চত্বরে। ভারতীয় খাবার চেখে দেখতে অ্যালবানিজ এসেছিলেন এই লিটল ইন্ডিয়াতেই। সপ্তাহান্তের সন্ধ্যায় সেখানেই নানারকম ভারতীয় খাবারে রসনাতৃপ্ত করেন তিনি।
সিডনির হ্যারিস পার্কের নাম বদলে লিটল ইন্ডিয়া বা ছোট্ট ভারত করার সিদ্ধান্ত তাঁরই। গত মাসে মোদীর অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যালবানিজই জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্বের প্রমাণ স্বরূপ এই নামকরণ করা হল। যা শুনে সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের মোদী অনুরোধ করেছিলেন অ্যালবানিজকে ভারতীয় খাবারে আপ্যায়ন করার জন্য। শুক্রবার লিটল ইন্ডিয়ায় তাঁর সেই সফরের ভিডিয়ো নিজের টুইটারে পোস্ট করেছেন অস্ট্রলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
Great Friday night in Little India, Harris Park with @Charlton_AB. We tried out Prime Minister @narendramodi's recommendations of chaat at Chatkazz and jalebi at Jaipur Sweets - a winner! pic.twitter.com/biy3Fo4aKQ
— Anthony Albanese (@AlboMP) June 23, 2023
টুইটারে অ্যালবানিজ লিখেছেন, ‘‘দারুণ একটা শুক্রবারের রাত ছিল এটা। হ্যারিস পার্কের লিটল ইন্ডিয়ায় গিয়েছিলাম সেখানকার পার্লামেন্ট সদস্য অ্যান্ড্রু সার্লটনের সঙ্গে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ মেনে চাট এবং জিলিপি খেয়ে দেখলাম। দারুণ লেগেছে আমার। দু’টো খাবারই মন জিতে নিয়েছে।’’
অ্যালবানিজের পোস্ট করা হ্যারিস পার্কের ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। পরে মোদীও ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘দেখে বুঝতেই পারছি দারুণ সময় কেটেছে। ভারতীয় সংস্কৃতির একটা অন্যতম সেরা দিকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে আপনার। আর ভারতীয় খাবারের বৈচিত্রই একে সেরার স্থান দিয়েছে। ঠিক ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্বের মতোই।’’
মোদীকে এর আগেও ভারতে রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন ধরনের খাবারের গুণগান করতে শোনা গিয়েছে। এর আগে জাপানের রাষ্ট্রদূতের ভারতীয় খাবার চেখে দেখার ভিডিয়োও নিজের টুইটারে শেয়ার করেছিলেন মোদী। ভারতীয় খাবার খেয়ে দেখতে উৎসাহিতও করেছিলেন তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy