ছবি সংগৃহীত।
একটি মামলায় শুক্রাণুদাতাকেই সন্তানের বাবা বলে আজ রায় দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার হাইকোর্ট। এই মামলাটি পর্যবেক্ষণের পরে আদালতের মনে হয়েছে, ১১ বছরের মেয়ের জীবনে ওই শুক্রাণুদাতারও ভূমিকা রয়েছে। মেয়েটির জন্মদাত্রী মা এবং তাঁর স্ত্রী সম্প্রতি নিউজ়িল্যান্ড চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা মানতে পারেননি জন্মদাতা বাবা। তাই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। নিম্ন আদালতে রায় তাঁর বিপক্ষে যায়। এ বার সেই রায়ের বিপরীতে গিয়ে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, এই শুক্রাণুদাতাই মেয়েটির বাবা। সে ক্ষেত্রে সন্তানের ব্যাপারে তাঁর কথা বলার অধিকার অবশ্যই রয়েছে।
ওই ব্যক্তির আইনজীবী তাহলিয়া ব্লেয়ার বলেছেন, তাঁর মক্কেল পাঁচ বছরের লড়াইয়ের পরে এই স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত। ব্লেয়ারের দাবি, ‘‘হাইকোর্টের এই রায়ের পরে প্রেমিক-প্রেমিকার পরিবর্তে নিজের বন্ধুর সঙ্গে থেকে কোনও বাবা যদি সন্তানকে বড় করে তুলতে চান, সে ক্ষেত্রে পথটা সহজ হবে।’’ আইনি কারণে মামলায় কারও নামই প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
অতীতে ৪৯ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির সঙ্গে ১১ বছরের মেয়েটির মায়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে ২০০৬ সালে মা হওয়ার সুযোগ দিতে বন্ধুকে শুক্রাণু দান করেছিলেন ওই ব্যক্তি। পরবর্তীকালে তাঁরা দু’জনে মিলে শিশুটিকে বড় করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। আইনজীবীদের দাবি, সিদ্ধান্ত নিলেও দু’জনের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ানোর পরে মহিলার আইনজীবী জানান, ওই ব্যক্তি শিশুটির বাবা নন। যদিও মেয়েটির জন্মের শংসাপত্রে বাবা হিসেবে ব্যক্তির নাম রয়েছে এবং মেয়েটিও তাঁকে বাবা বলেই ডাকে। সব দেখেশুনে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার হাইকোর্ট বলেছে, ওই ব্যক্তির বাবা হিসেবে আইনত অধিকার রয়েছে। শিশুটিকে নিউজ়িল্যান্ডে পাঠানোর ব্যাপারে তিনি আপত্তি জানাতেই পারেন। আদালতের মতে, ‘‘সাধারণ ক্ষেত্রে শিশু জন্মের পরে শুক্রাণুদাতার কোনও ভূমিকা থাকে না ঠিকই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy