—প্রতীকী চিত্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত গোড়া থেকেই ভারসাম্যের নীতি নিয়ে চলছে, এমনটাই পর্যবেক্ষণ কূটনৈতিক শিবিরের। পশ্চিম বিশ্বের একাংশের বক্তব্য, ভারত আসলে যুদ্ধের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নীতি নিয়েছে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে। ইউক্রেনে শান্তি ফেরানো সংক্রান্ত চলতি বৈঠকে যোগ দিতে সৌদি আরবের জেড্ডায় গিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল অবশ্য জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ নয়, ভারত সব সময়েই শান্তির পক্ষে।
ডোভালের কথায়, “যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় পক্ষের সঙ্গে ভারত নিয়মিত ভাবে আলোচনা করে চলেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শান্তির সমস্ত নীতিকে ভারত সমর্থন করে। সমস্ত রাষ্ট্র পারস্পরিক ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব মেনে চলবে এটাই কাম্য।” তাঁর বক্তব্য, “অনেকেই বলে আমরা এই ব্যাপারে নিরপেক্ষ। কথাটা ঠিক নয়। আমরা শান্তির পক্ষে। গোটা বিশ্ব, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলি, এই যুদ্ধের কুফলে জর্জরিত। ভারত ইউক্রেনকে মানবিক সাহায্য করছে। তার প্রতিবেশী উন্নয়নশীল দেশগুলিকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।” যুদ্ধ থামাতে দু’পক্ষকেই আরও কাঠখড় পোড়াতে হবে বলেই মনে করেন ডোভাল।
ভারত, আমেরিকা, চিন-সহ প্রায় ৪০টি দেশের শীর্ষ কর্তারা জেড্ডার এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। তবে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি মস্কোর। এই বৈঠক নিয়েও মস্কো এবং কিভ যথারীতি ভিন্ন সুরে কথা
বলেছে। রাশিয়ার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠক নিস্ফলাই থাকবে। এই প্রয়াস উন্নয়নশীল দেশগুলিকে কিভের পিছনে দাঁড় করানোর চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। অন্য দিকে ইউক্রেনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, জেড্ডার আলোচনা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে একটি গঠনমূলক সূত্র দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy