Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Weather Update

গরমে অশনি সঙ্কেত! বিশ্বে রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেতে পারে তাপমাত্রা, কারণ জানালেন বিজ্ঞানীরা

ফিরছে ‘এল নিনো’। আর এর জেরেই চলতি বছরে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে তাপমাত্রা। এমনটাই আশঙ্কা করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

representative photo of summer

গরম বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নিউইয়র্ক শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:১৫
Share: Save:

এপ্রিলের গা জ্বালানো গরমে হিমশিম খাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। রোজই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। বৃষ্টির দেখা নেই। অসহনীয় গরমে কাহিল সকলে। এর মধ্যেই এক নতুন আশঙ্কার কথা জানালেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

চলতি বছর এবং আগামী বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাবে। এর কারণ হিসাবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘এল নিনো’র প্রত্যাবর্তন ঘটছে। আর এর প্রভাবেই বিশ্বে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।

আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল দেখে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, প্রশান্ত মহাসাগরে ‘লা নিনা’ পরিস্থিতির পর ‘এল নিনো’র প্রত্যাবর্তন ঘটছে। ‘লা নিনা’ পরিস্থিতির ফলে তাপমাত্রা কমে। আর ‘এল নিনো’র ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা হয়।

চিলি, পেরু-সহ দক্ষিণ আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশগুলিতে ‘এল নিনো’ ঘটে। ২ থেকে ৭ বছর অন্তর ফেরে এই পরিস্থিতি। এর ফলে মহাসাগরের জলস্তরের (সি সারফেস) তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়। এর ফলে উপকূল এলাকার বায়ুমণ্ডলও তেতে ওঠে। এই পরিস্থিতির জেরে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্ত থেকে গরম জলের স্রোত মহাসাগরের পূর্ব দিকে ধেয়ে যায়। এর জেরে পূর্ব উপকূলের সেই গরম জল তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় মহাসাগর সংলগ্ন স্থলভাগের বিভিন্ন দেশের বহু এলাকার। ওই সময় সমুদ্রের তলদেশ থেকে ঠান্ডা জলও উপরে উঠে আসতে পারে না। ফলে সেখানকার সমুদ্রের পিঠের জলস্তর ঠান্ডা হওয়ার সুযোগই পায় না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের ডিরেক্টর কার্লো বুয়োনটেম্পো জানিয়েছেন, বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে যোগ রয়েছে এল নিনোর। তবে সেটা ২০২৩ বা ২০২৪ সালে হবে কি না, তা জানা যায়নি এখনও। তবে এই পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

অতীতে ২০১৬ সাল ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছর। ‘এল নিনো’র জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল ভারতকেও। ২০১৫ সালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বৃষ্টির পরিমাণও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছিল। চলতি বছরে দেশের একাংশে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। যদিও মৌসম ভবন আশ্বস্ত করেছে যে, চলতি বছরে দেশে বর্ষা স্বাভাবিক হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Weather Update Weather El Nino
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy