Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করতে চায় না রাষ্ট্রপুঞ্জ

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসকে চিঠি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।

কড়া নিরাপত্তায় কাশ্মীর। ফাইল চিত্র।

কড়া নিরাপত্তায় কাশ্মীর। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০১:২১
Share: Save:

কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান জোয়ানা রনেকা। একই সঙ্গে তাদের কাশ্মীর-নীতি বদলয়ানি বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসনও।

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসকে চিঠি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তাঁর দাবি ছিল, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ আসলে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘনের শামিল। সেই চিঠিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের কী প্রতিক্রিয়া সাংবাদিকেরা কাল তা জোয়ানার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। যার জবাবে জোয়ানা শুধু বলেছেন, ‘‘নো কমেন্টস।’’

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, কাশ্মীরের মতো দ্বিপাক্ষিক বিতর্কিত বিষয় এ ভাবেই এড়িয়ে যেতে চেয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর পরই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। পাক বিদেশমন্ত্রীও তড়িঘড়ি গুতেরেসকে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেন। যার সরাসরি জবাব এড়িয়ে গিয়েছিলেন মহাসচিবও। তবে গুতেরেস জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে দু’দেশকে সংযত থাকতেও বলেন তিনি।

মহাসচিবের মতোই কাল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান। উল্টে গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক একটি বিবৃতিতে শিমলা চুক্তির উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের সমস্যা চুক্তি মোতাবেক দু’দেশকেই শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান করতে হবে।’’ অর্থাৎ পাক সরকারকে কার্যত ঘুরিয়ে তাঁরা এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, এই মুহূর্তে কোনও ভাবেই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ নাক গলাবে না।

পাশাপাশি ভারত সরকার পাশে পেয়েছে মার্কিন প্রশাসনকেও। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ পরবর্তী পরিস্থিতিতে কাশ্মীর নিয়ে আমেরিকার নীতি বদলাচ্ছে কি না, মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মর্গান অর্টাগাসের কাছে আজ তা জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। যার উত্তরে ‘না’ বলেছেন মর্গান। একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে মনে করে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মর্গানের কথায়, ‘‘কাশ্মীর নিয়ে আমাদের নীতি পরিবর্তিত হয়নি। তা হলে
সেটা এ ভাবে আপনাদের আমি বলতামও না।’’

তাঁদের কাশ্মীর-নীতি পরিবর্তন যে অনেক বড় বিষয় তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন মর্গান। দু’দেশের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সরাসরি কাশ্মীর বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করলেও তাঁদের সরকার যে পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখছে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন মর্গান। জানিয়েছেন, গত মাসে পাক প্রধানমন্ত্রী যখন আমেরিকা সফরে এসেছিলেন, সেই সময়েও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy