—ফাইল চিত্র
সন্ত্রাসে পাকিস্তানি মদত বন্ধ না হলে যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা নেই তা কাল বুঝিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানালেন, কাশ্মীর থেকে ‘কার্ফু’ না তোলা হলে আলোচনার প্রশ্নই নেই।
অন্য দিকে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার সময়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে আজ জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমারের বক্তব্য, ‘‘এ নিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে দু’বার ভিভিআইপি উড়ানকে নিজেদের আকাশপথে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। কোনও স্বাভাবিক রাষ্ট্র এটাকরে না।’’
এই পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তানকে আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। কিন্তু কাল জয়শঙ্কর স্পষ্ট জানান, সন্ত্রাস বন্ধ না হলে আলোচনার সম্ভাবনা নেই। সেইসঙ্গে তিনি জানান, পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ। তাঁর আশা, কখনও ওই এলাকা ভারতের নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আজ পাক সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, ‘‘কাশ্মীর থেকে কার্ফু তোলা না হলে আলোচনার প্রশ্নই নেই।’’ সেই সঙ্গে পাক বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘ভারতের বিদেশমন্ত্রী দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মন্তব্য করেছেন।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে বিভিন্ন দেশকে পাশে পেতে যে পাকিস্তান এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তা আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘‘পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি আমাকে ফোন করে কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাশে থাকার আর্জি জানান। আমি জানিয়েছি, জম্মু-কাশ্মীরের ঘটনাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে বাংলাদেশ।’’ গত কাল চিনও জানিয়েছে, শি চিনফিংয়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বৈঠকে কাশ্মীর তেমন গুরুত্ব না-ও পেতে পারে।
আজ কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতকে সমর্থন করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দুই সদস্য। তাঁদের দাবি, ‘‘ভারতে, বিশেষত জম্মু-কাশ্মীরে যে সব জঙ্গি হানা হচ্ছে সেগুলির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এই জঙ্গিরা চাঁদ থেকে আসছে না। আমাদের উচিত ভারতকে সমর্থন করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy