প্রতীকী ছবি।
কমবয়সিদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাসের অতিমারি। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের প্রাথমিক পর্বে উৎকণ্ঠায় ভোগা কমবয়সিদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা। ওই সমীক্ষায় দাবি, ২৭ থেকে ২৯ বছর বয়সিদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগজনিত সমস্যা ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, লকডাউন শুরুর গোড়াতেই মানসিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। জুনে লকডাউনের মাত্রা শিথিল হতে শুরু করলেও তা কোনও অংশে কমেনি। সমীক্ষকদের আশঙ্কা, শীতের মরসুমেও এই পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হবে না।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৯৯১ এবং ’৯২-তে সন্তানসম্ভবা সাড়ে ১৪ হাজার মহিলার উপর সমীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের তিরিশের কোঠায় পৌঁছনো সন্তানদের প্রায় তিন দশকের জীবনযাপন এবং স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। এই সমীক্ষার সহ-নেতৃত্ব দিয়েছেন গবেষক অ্যালেক্স ওয়ং। তিনি বলেন, “সমীক্ষার প্রশ্নোত্তরে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে কমবয়সিদের মধ্যে লকডাউন চলাকালীন উদ্বেগজনক মাত্রায় উৎকণ্ঠাজনিত সমস্যা বেড়েছে। অতিমারির জেরে সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের ফলে উৎপন্ন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কারণেই সম্ভবত তা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।” তাঁর আশঙ্কা, শীঘ্রই এই পরিস্থিতির বদল ঘটবে না। অ্যালেক্সের কথায়, “তথ্যপ্রমাণ বলছে, এটা স্বল্পস্থায়ী বিষয় নয়। যে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে তা কমাতে অবিলম্বে মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহায়তা তথা হস্তক্ষেপের করা জরুরি হয়ে পড়েছে।”
আরও পড়ুন: টানা ২৬ দিন দৈনিক আক্রান্ত ১ লক্ষের বেশি, বিপর্যয়ের আশঙ্কা আমেরিকায়
আরও পড়ুন: মা করোনা আক্রান্ত, সদ্যোজাতের শরীরে পাওয়া গেল অ্যান্টিবডি
গবেষকরা জানিয়েছেন, যে সব মহিলার আগে থেকেই স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা ছিল বা যাঁরা অতিমারির সময়ে নিঃসঙ্গ অথবা অর্থনৈতিক দিকে দুর্বল— এমন মানুষজনের মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
ব্রিটেনের এই গবেষণার সঙ্গে গত অগস্টে আমেরিকার একটি সমীক্ষার ফলাফলের মিল রয়েছে। সে সময় আমেরিকার সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর রিপোর্ট জানিয়েছিল, গত বছরের অগস্টের থেকে চলতি বছরে সে দেশে উৎকণ্টায় ভোগা আমেরিকানদের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। এমনকি, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমেরিকাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলে দাবি করেছিল সিডিসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy