আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ছবি: রয়টার্স।
জি২০ বিদেশমন্ত্রীদের মঞ্চে মূল আলোচনার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ালো পার্শ্ববৈঠকগুলি। এক দিকে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক ভারসাম্যের প্রয়াস চালাল ভারত। পাশাপাশি মস্কো আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলিকে দায়ী করল তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ তুলে। সর্বোপরি কিছুটা নাটকীয় ভাবে মুখোমুখি হলেন আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। পরে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, “গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জে অনেককেই যা বলেছি, আজ জি২০-র বেশ কিছু দেশের বিদেশমন্ত্রী যা বললেন, আমি সে কথাই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ থামান। অর্থবহ কূটনীতিতে মন দিন। তা হলেই দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ফিরে আসবে।” গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন এঁরা।
ব্লিঙ্কেন আজ বলেছেন, “রাশিয়া চাইলে কালই যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে পারে। এই যুদ্ধের কারণে প্রত্যেকটি দেশ সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। যারা ক্ষুধার্ত তাদের তো খাদ্য জোগান দিতে হবে। কিছু দেশকে সহায়তা করতে হবে কৃষিতে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য।’’
আজ দুপুরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। কথা হয়েছে আন্তর্জাতিক, দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে। প্রসঙ্গত, জয়শঙ্কর বুধবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। পরে জয়শঙ্কর টুইট করেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জি২০-র পার্শ্ববৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অন্য দিকে লাভরভের টুইট, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নত করা, আন্তর্জাতিক স্তরে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, বহুপাক্ষিক মঞ্চে পারস্পরিক সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy