বেজিংয়ের রাস্তায় শি বিরোধী পোস্টার। টুইটার থেকে নেওয়া।
আসন্ন পার্টি কংগ্রেসে আরও পাঁচ বছরের জন্য তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়া কার্যত নিশ্চিত। সেই শি জিনপিংয়ের বিরোধিতা করে পোস্টার পড়ল চিনের রাজধানী বেজিংয়ের রাস্তায়। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘মহান নেতা নেতা চাই না, ভোটাধিকার চাই।’ মনে করা হচ্ছে, জিনপিংয়ের কঠোর কোভিড নীতির কারণেই অসন্তোষের এই বহিঃপ্রকাশ।
আগামী ১৬ অক্টোবর, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে আসন্ন পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য দলের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হবেন শি জিনপিং। পার্টি ও দেশ, একই সঙ্গে এই দু’য়েরই দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। কিন্তু তার ঠিক দু’দিন আগে রাজধানী বেজিংয়ের রাস্তায় পড়ল জিনপিং বিরোধী পোস্টার। সেখানে কমিউনিস্ট শাসনের বিরোধিতা করে শিকে সরানোর ডাক দেওয়া হয়েছে।
একটি পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘‘করোনা পরীক্ষাকে না বলুন, খাদ্যের অধিকারকে হ্যাঁ বলুন। লকডাউন নয়, স্বাধীনতাকে আলিঙ্গন করুন। সাংস্কৃতিক বিপ্লব নয়, সংস্কার চাই। আমাদের মহান নেতা চাই না, ভোটাধিকার চাই। ক্রীতদাস না হয়ে নাগরিক হন।’’
Rare protest in center of Beijing, China against the communist party. One man displayed banners and shouted slogans against Xi Jinping, he was arrested.
— We Are Protestors (@WeAreProtestors) October 14, 2022
China was quick to removed all signs of protest from their social media and internet. pic.twitter.com/2xLelTSQoG
একটি উড়ালপুল থেকে ঝোলানো আরও একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘‘ধর্মঘট ডাকুন। একনায়ক ও বিশ্বাসঘাতক শি জিনপিংকে সরিয়ে দিন।’’
রাজধানী বেজিংয়ের একাধিক জায়গায় এই পোস্টারগুলি দেওয়া হয়েছে। যদিও পোস্টারের লেখা দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে দিয়েছে চিনের পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়েছে কয়েক জনকে। পুলিশ পোস্টার ছড়ালেও এই ছবি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমী সমাজমাধ্যমে। যদিও চিনে প্রচলিত সমস্ত সমাজমাধ্যম থেকে এই পোস্টারের ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়। এই পোস্টারগুলির সমর্থন করা বেশ কিছু টুইটার হ্যান্ডলকেও সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
করোনা ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের পথে হেঁটেছে চিন। লাগাতার লকডাউনের পাশাপাশি কঠোর নিয়মকানুনে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। জিনপিংয়ের বিরোধিতার আড়ালে মূলত একেই কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২-য় জিনপিং প্রথম বার ক্ষমতায় আসেন। আসন্ন পার্টি কংগ্রেসে তিনিই যে আরও ৫ বছর দেশ ও পার্টির দায়িত্ব পেতে চলেছেন, তা নিয়ে কারও মনেই বিশেষ কোনও সন্দেহ নেই। যদিও কঠোরতম করোনা বিধির বিরোধিতা করে তার মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে পোস্টার পড়ল বেজিং শহরে। যা চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মাথাব্যথা বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy