Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪

উষ্ণায়ন রুখছে পিঁপড়েও, দাবি গবেষকদের

উষ্ণায়ন রুখতে তৎপর পিঁপড়েও! দীর্ঘদিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এমনই দাবি করেছেন মার্কিন মুলুকের অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, পরিবেশের কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাটিতে ‘বন্দি’ করে চলেছে কয়েকটি প্রজাতির পিঁপড়ে। সমীক্ষার খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘জিওলজি’ পত্রিকায়।

সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৪ ০২:১৩
Share: Save:

উষ্ণায়ন রুখতে তৎপর পিঁপড়েও! দীর্ঘদিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এমনই দাবি করেছেন মার্কিন মুলুকের অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, পরিবেশের কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাটিতে ‘বন্দি’ করে চলেছে কয়েকটি প্রজাতির পিঁপড়ে। সমীক্ষার খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘জিওলজি’ পত্রিকায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রোনাল্ড ডর্ন জানান, পিঁপড়ের সংখ্যাবৃদ্ধির সঙ্গে কম মাত্রায় হলেও পরিবেশ পরিবর্তনের যোগসূত্র রয়েছে। বাসা গড়তে তারা খনিজ-সমৃদ্ধ বালুকণা সংগ্রহ করে। পিঁপড়ের দেহ-নিসৃত রস সে সব কণায় মিশলে রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। গবেষকরা জানান, তার জেরে কয়েকটি ক্ষেত্রে তৈরি হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট (চুনাপাথর) নামের যৌগ পদার্থ। জলের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই অক্সাইড সেটির সংস্পর্শে এলে গঠিত হয় ক্যালসিয়াম বাই-কার্বনেট। এতে বাতাস থেকে অল্প হলেও ওই ‘গ্রিন-হাউস গ্যাসের’ পরিমাণ কমে।

অনেকটা একই প্রাকৃতিক বিক্রিয়ায় ওই গ্যাস বিপুল পরিমাণে মেশে বিশ্বের সাগর-মহাসাগরে।

গবেষক দলের তরফে জানানো হয়েছে, শারীরবৃত্তীয় কারণে ওই পিঁপড়েগুলির ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রয়োজন। তা মেলে মূলত ব্যাসল্ট জাতীয় পাথর, বালিতে। বাসার দেওয়াল শক্ত করতেও পিঁপড়েরা ওই বালি জোগাড় করে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পিঁপড়ের দেহরস মিশলে খুব দ্রুত ওই ধরনের বালির রাসায়নিক প্রকৃতি বদলে যায়। তখন সহজেই সেটির সঙ্গে বাতাসের কাবর্ন ডাই অক্সাইডের বিক্রিয়া ঘটে। তবে গবেষক ডর্ন জানান, পিঁপড়েগুলির ‘ছোঁয়ায়’ বালুকণার প্রকৃতি বদলের জটিল বিক্রিয়ার পুরোটা জানা যায়নি। তা এখনও রহস্যে ঢাকা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE