‘ঘটনার দায় নিয়ে’ পদত্যাগ করলেন টুসন শহরের পুলিশ-প্রধান ক্রিস ম্যাগনাস।—ছবি এপি।
‘দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার’— মিনিয়াপোলিসের রাস্তায় গত ২৫ মে এ ভাবেই কাতরাতে শোনা গিয়েছিল কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে। এর প্রতিবাদে যখন উত্তাল আমেরিকা, তখনই পুলিশি নির্যাতনের আরও এক ভিডিয়ো ভাইরাল হল অ্যারিজ়োনা থেকে। যাতে দেখা গিয়েছে, পুলিশি হেফাজতে পিছমোড়া অবস্থায় এক ল্যাটিনো যুবকের শরীরটা ১২ মিনিট কাতরাতে কাতরাতে নিথর হয়ে যাচ্ছে। কার্লোস ইনগ্রাম লোপেজ় নামে ওই যুবকেরও শেষ কথা ছিল ‘দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার।’
পুলিশ নির্যাতনের নয়া ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ফের উত্তাল আমেরিকা। এরই মধ্যে অ্যারিজ়োনারই স্কটস্ডেল শহরের পুরসভার সদস্য গাই ফিলিপ্স এক মাস্ক-বিরোধী সভায় ‘দম বন্ধ হয়ে আসছে’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন। বর্ণ-আন্দোলনকে খাটো করার অভিযোগ ওঠায় অবশ্য আজ ক্ষমাও চান তিনি।
লোপেজ়ের ঘটনাটি ২১ এপ্রিলের। জর্জ-খুনেরও মাসখানেক আগের। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে কাল। ঘটনাস্থলে থাকা অভিযুক্ত তিন পুলিশ অফিসার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন। কাল সাংবাদিক বৈঠকে ‘ঘটনার দায় নিয়ে’ পদত্যাগ করলেন টুসন শহরের পুলিশ-প্রধান ক্রিস ম্যাগনাসও। মেনে নিলেন, হাতকড়া পরানো অবস্থায় অভিযুক্তকে অত ক্ষণ মুখ গুঁজে রাখাটা ঠিক হয়নি। তবে পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন লোপেজ় মত্ত হয়ে নগ্ন অবস্থায় গোটা বাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেখে তাঁর ঠাকুরমাই পুলিশ ডেকেছিলেন। লোপেজ়কে ধাওয়া করে গ্যারেজ-ঘরে গিয়ে পৌঁছন তিন পুলিশ অফিসার। তার পরেই ধস্তাধস্তি। ময়না-তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান লোপেজ়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy