হিজাব বিরোধী বিক্ষোভ ইরানে। ছবি রয়টার্স।
মাহশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে উত্তাল ইরান। চলছে হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভ। এই আবহে এ বার এক স্কুলছাত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। যার জেরে ইরানের বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে আগুনে ঘি পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্কুলে শ্রেণিকক্ষের মধ্যে ঢুকে আসরা পানাহি নামে বছর ষোলোর এক ছাত্রীকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়তুল্লা আলি খোমেনেইয়ের প্রশংসাসূচক একটি গান গাইতে অস্বীকার করায় ওই ছাত্রীকে মারধর করা হয়।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সে দেশের উত্তর-পশ্চিমে আরদাবিল শহরে গত সপ্তাহে শাহিদ উচ্চ বিদ্যালয়ে হানা দিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এর পরই শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ছাত্রীদের ওই গান গাইতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। বহু ছাত্রীই ওই গান গাইতে অস্বীকার করে। তার জেরেই তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জখম অবস্থায় আসরাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বুধবার তার মৃত্যু হয়েছে বলে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে ‘দ্য কোঅর্ডিনেটিং কাউন্সিল অফ ইরানিয়ান টিচার্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েসন্স’।
যদিও আসরার মৃত্যুর দায় নিতে অস্বীকার করেছে ইরান প্রশাসন। ছাত্রীর এক আত্মীয় দাবি করেছেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আসরার। কাকতালীয় হলেও এটা সত্যি যে মাহশার ক্ষেত্রেও একই দাবি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মাহশা আমিনি নামে ২২ বছর বয়সি তরুণীর মৃত্যু ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ইরানে। কয়েক দিন আগে ইরানে কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে যাচ্ছিলেন মাহশা। সে সময় পথে তাঁকে আটকায় নীতিপুলিশ। অভিযোগ, হিজাব ঠিকমতো না পরায় তাঁকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পরই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশি অত্যাচারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে শামিল ইরানের বহু মহিলা। নিজেদের চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আসরার মৃত্যু ঘিরে যে অভিযোগ উঠল, তাতে নতুন করে সে দেশে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy