কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নের মন্ত্রিসভাতেও ঠাঁই পেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুই মহিলা। ৫৮ বছরের অনিতা আনন্দ হয়েছেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান এবং শিল্পমন্ত্রী। ৩৬ বছরের কমল খেরা হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন অনিতা এবং কমল।
কমল সবচেয়ে কম বয়সে কানাডার মন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁর জন্ম দিল্লিতে। স্কুলে পড়ার সময়ে কানাডায় চলে যান। টরন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হন। ২০১৫ সালে প্রথম বার ব্রাম্পটন ওয়েস্ট থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন কমল। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে কমলের বিষয়ে লেখা হয়েছে, তিনি পেশায় নার্স ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ কমলের পোস্ট, ‘‘নার্স হিসাবে আমি সব সময় রোগীদের পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবেও তা-ই করে যাব। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য মার্ক কার্নেকে ধন্যবাদ।’’
এর আগে কানাডার অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং জাতীয় রাজস্ব মন্ত্রকের পার্লামেন্টারি সচিব ছিলেন কমল। এ বার স্বাধীন ভাবে সামলাবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজনীতিতে আসার আগে টরন্টোর সেন্ট জোসেফ হেল্থ সেন্টারের অঙ্কোলজি বিভাগের নার্স ছিলেন কমল। তবে অতিমারির সময়ে আবার তিনি ফিরে গিয়েছিলেন নিজের পুরনো পেশায়। ব্রাম্পটনের এক হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজে যোগ দেন।
অনিতার জন্ম কানাডার নোভা স্কটিয়ায়। ১৯৮৫ সালে তাঁরা অন্টারিয়ো চলে যান। ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনি। এখন সামলাবেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান এবং শিল্প মন্ত্রক। অনিতা পেশায় ছিলেন আইনজীবী। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যাপক হিসাবেও কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে প্রথম বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পরে জাতীয় প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকও সামলেছেন। এক্সে পোস্ট দিয়ে অনিতা জানিয়েছেন, নতুন মন্ত্রক পেয়ে তিনি গর্বিত। নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে কিছু ভাল করা যাবে না। বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে কানাডা এবং কানাডার অর্থনীতিকে মজবুত করার ডাক দিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন কার্নে। তাঁর মন্ত্রিসভায় ১৩ জন পুরুষ এবং ১১ জন মহিলা মন্ত্রী রয়েছেন।