ফাইল চিত্র।
ঠিক যেন লাদেন নিকেশের ছক! তেমন ভাবেই মার্কিন নেভি সিলের কম্যান্ডোরা তৈরি ছিলেন।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ আগেই জানিয়েছিল, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের তালিবান অধ্যুষিত এক প্রত্যন্ত গ্রামে বন্দি করে রাখা হয়েছে এক দম্পতিকে। সঙ্গে রয়েছে তাঁদের সন্তানরাও। ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালিয়েছিল সিআইএ। অভিযানের কৌশলও ঠিক করে ফেলা হয়েছিল। তবে এ বারের পরিস্থিতি একটু অন্য রকম। অপহৃত ওই দম্পতিকে উদ্ধারের জন্য মার্কিন সেনার সঙ্গে জোট বাধে পাক সেনাও।
আরও পড়ুন:
শি-র মতকে আইন করতে উদ্যোগী চিন
সরকারকে বিঁধেই কি খুন সাংবাদিক
২০১২ সালে আফগানিস্তানে তালিবানের শাখা সংগঠন হক্কানি নেটওয়ার্ক অপহরণ করেছিল মার্কিন-কানাডীয় দম্পতি জোশুয়া এবং কেইটল্যান কোলম্যানকে। সেখানেই দীর্ঘ পাঁচ বছর নরক-যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় তাঁদের। বন্দি অবস্থাতেই কেইটল্যান জন্ম দেন চার সন্তানের। তাদের মধ্যে এক মেয়েকে মেরে ফেলে জঙ্গিরা। গত সপ্তাহে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছ থেকে ওই দম্পতি এবং তাঁদের তিন সন্তানকে উদ্ধার করে পাক সেনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই ঘটনা পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য ‘ইতিবাচক’।
মার্কিন সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বয়েল পরিবারকে দেশে ফেরানোর জন্য পাকিস্তান উড়ে গিয়েছিল একটি মার্কিন দল। অপহৃত দম্পতিকে উদ্ধারের জন্য মার্কিন সেনাকে সবরকম ভাবে সাহায্য করেছে পাক সেনা। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ জানিয়েছে, পাকিস্তানের সহযোগিতা না পেলে আরও একটা লাদেন হত্যার রাতের মতো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হত পাকিস্তানকে। তাছাড়া তালিবানের শাখা সংগঠন হক্কানি নেটওয়ার্ককে হোপনে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান, এমন প্রশ্নেরও সামনে পড়তে হত পাক সরকারকে।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ সূত্রে খবর, অপহরণকারীরা গাড়িতে করে ওই দম্পতিকে নিয়ে যাওয়ার সময়েই পথ আটকেছিল পাক সেনা। তাদের গুলিতে মৃত্যু হয় বেশ কিছু জঙ্গিরও। পাক সেনার সঙ্গে জঙ্গি দমন অভিযানে যোগ দেয় নেভি সিলের কম্যান্ডোরাও। গোটা ঘটনাটাই ছিল নাটকীয়। জখম হয়েছিলেন জোশুয়াও। তবে মার্কিন অফিসাররা এখনও নিশ্চিত ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy