ছবি সংগৃহীত।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যখন চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ, ঠিক সেই সময় জাপানের সঙ্গে ভারত নৌসেনা মহড়া করল শনিবার। কৌশলগত বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপান এবং ভারতের নৌমহড়া যে প্রথম ঘটল এমন নয়। গত তিন বছরে এটি ১৫তম। কিন্তু এমন স্নায়ু টানটান লড়াইয়ের মাঝে সাম্প্রতিক সামরিক মহড়াটি বাড়তি তাৎপর্যপূর্ণ। চিনের সঙ্গে ভূখণ্ডের অধিকার নিয়ে দীর্ঘকাল সংঘাতে জড়িয়ে থাকা জাপানও যে শি চিনফিংয়ের বিরুদ্ধে পেশি প্রদর্শনে ভারতকে শামিল করতে চায়, এমন বার্তাও এই মহড়ার মাধ্যমে দেওয়া হল বলে সূত্রের খবর।
জাপান মেরিটাইম সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্স (জেএমএসডিএফ)-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতেই এই মহড়া। অন্য দিকে, ভারতীয় সেনার ভাইস অ্যাডমিরাল প্রদীপ চহ্বাণের কথায়, কৌশলগত যোগাযোগ বাড়ানোর জন্যই এই আয়োজন। কোনও যুদ্ধ প্রস্তুতি নয়, সিগন্যাল আদানপ্রদান মসৃণ করার জন্য এই মহড়া করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারত মহাসাগরের ঠিক কোথায় এই মহড়া হয়েছে তা নিরাপত্তার কারণে প্রকাশ করেনি কোনও পক্ষই। তবে জানানো হয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস রানা এবং আইএনএস কুলুশ এবং জাপানের জেএস কাশিমা এবং জেএস শিমায়ুকি এই চারটি জাহাজ মহড়ায় যোগ দিয়েছে।
গালওয়ান উপত্যকায় চিনের অনুপ্রবেশের পর, জাপান-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া-ভারত— এই চর্তুদশীয় অক্ষ বা কোয়াড-কে সামরিক চেহারা দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উপর এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সামরিক নজর থাকলেও একই ভাবে ভারত মহাসাগর নিয়েও উদ্বিগ্ন দিল্লি। গত এক বছরে সেখানে নজরদারি এবং আধিপত্য ক্রমশ বাড়ানোর চেষ্টা করছে বেজিং। গালওয়ানে হিংসার কয়েক দিন আগেই পিএলএ-র নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিরোধক ব্যবস্থা মজুত করা জাহাজ ছাড়ে। ওই একই এলাকায় জলের তলায় কাজ করতে পারে এমন এক ঝাঁক ড্রোনও চিন সম্প্রতি ছেড়েছে— এই রিপোর্ট নিয়েও উদ্বিগ্ন সাউথ ব্লক। আন্দামান ও নিকোবরের কাছে ভারতের নিজস্ব ইকনমিক জ়োন-এর মধ্যে গত বছরের নভেম্বরে একটি চিনা জাহাজকে ধাওয়া করেছিল ভারত। চিন সে সময় বলে, জলদস্যুদের পাহারা দেওয়ার জন্যই মাঝে মাঝে টহলদারি দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে সংশয় কাটেনি ভারত, জাপানের মতো দেশের।
আরও পড়ুন: ভারতীয় কম্যান্ডো, জাপানি প্যাঁচ! ধাক্কা খেয়েই কি মার্শাল আর্টে জোর চিনের
আরও পড়ুন: তিব্বত হতে রাজি নই! কেন্দ্রশাসিত হওয়ার ‘অপমান’ সয়েও বলছে লাদাখ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy