ইউক্রেন নিয়ে ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে। ফাইল ছবি।
ইউক্রেন নিয়ে ক্রমশ চড়ছে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনার পারদ। এ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি বক্তব্যে তৈরি হল নয়া চাঞ্চল্য। কূটনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, আরও ঘোরালো হল যুদ্ধের পরিস্থিতি? বাইডেনের কথায়, ‘‘ইউক্রেনে বসবাসকারী আমেরিকার নাগরিকদের অবিলম্বে ওই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।’’ হঠাৎ কেন এ কথা বলছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট?
বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এনবিসি নিউজ-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আমেরিকানদের ইউক্রেন ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত। তিনি যোগ করেন, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনীর সঙ্গে মোকাবিলা করছি আমরা। এটা একেবারেই ভিন্ন পরিস্থিতি। যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও দিকে যেতে পারে পরিস্থিতি। তাই ইউক্রেনে বসবাসকারী আমেরিকানদের সে দেশ ত্যাগ করাই শ্রেয়।’’
তবে বাইডেন পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, কোনও ভাবেই ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না আমেরিকা। সেটা যদি রাশিয়ার আক্রমণের পর সে দেশে বসবাসকারী আমেরিকানদের উদ্ধারের জন্যও দরকার হয়, তাও নয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ব্যাখ্যা, ‘‘যদি আমেরিকা ও রুশ সৈন্য একে অপরকে গুলি ছুড়তে শুরু করে, তবে আমরা এক ভিন্ন পৃথিবী দেখব।’’ একে তিনি আর এক বিশ্বযুদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন সাক্ষাৎকারে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় দেড় লক্ষ সেনা পাঠানোর পর শুরু হয়েছে আর এক ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’। প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষ এই পরিস্থিতি মিটিয়ে ফেলার কথা বললেও রুশ সেনা বাহিনী এখনও পিছু না হঠায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। অন্য দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানাচ্ছেন, ইউক্রেন আক্রমণের কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। তা হলে এত সেনা টহল কেন? এ প্রশ্নের অবশ্য পরিষ্কার উত্তর দেননি তিনি। ফলত, ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
বাইডেন হুঁশিয়ারির সুরে জানাচ্ছেন, তিনি আশা করছেন, পুতিন হয়ত এতটাও বোকামি করবেন না যেখানে আমেরিকার নাগরিকদের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যদিও এর প্রেক্ষিতে মস্কোর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy