Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Narendra Modi

‘ভারতকে ভালবাসে আমেরিকা’, মোদীর শুভেচ্ছাবার্তার জবাব ট্রাম্পের

বিশ্বের প্রাচীন ও সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র আমেরিকা ও ভারতের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এই টুইট বিনিময়কে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

মার্কিন স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (ডান দিকে)। জবাব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

মার্কিন স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (ডান দিকে)। জবাব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২০ ১২:১৩
Share: Save:

গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং লেকে চিনা আগ্রাসন নিয়ে ভারতের সংঘাত চরমে। পাক স্টক এক্সচেঞ্জে জঙ্গি হানা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে চিনের তোলা ভারতবিরোধী প্রস্তাবে সায় দেয়নি আমেরিকা। সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ফের পাশে দাঁড়াল ভারতের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, "আমেরিকা ভারতকে ভালবাসে।" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৪তম স্বাধীনতা দিবসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জবাবেই ট্রাম্পের ছোট্ট অথচ তাৎপর্যপূর্ণ জবাবে বুঁদ সোশ্যাল মিডিয়া।

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হয়েছিল আমেরিকা। সেই দিনটিকেই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট। সেই উপলক্ষে শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করেছিলেন, ‘‘আমেরিকার ২৪৪তম স্বাধীনতা দিবসে আমেরিকাবাসী সবাইকে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা। বিশ্বের বৃহত্তম দুই গণতন্ত্র হিসেবে আমরা স্বাধীনতা ও মানবতার উদযাপন করি।’’ এই টুইট ট্যাগ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘‘ধন্যবাদ বন্ধু। আমেরিকা ভারতকে ভালবাসে।’’

বিশ্বের প্রাচীন এবং সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র যথাক্রমে আমেরিকা ও ভারতের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এই টুইট বিনিময়কে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই সৌজন্য বিনিময়। বহু ভারতীয় ও আমেরিকান প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আফ্রো-আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পী মেরি মিলিবেন নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘ভারত আমাদের মূল্যবান বন্ধু। ভারত ও আমেরিকা— বিশ্বের দুই বৃহত্তম গণতন্ত্রের উপর ঈশ্বরের কৃপা যে আপনি ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।" তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘দৃঢ় বন্ধুত্ব স্থাপনের জন্য দুই নেতাকে ধন্যবাদ। যে কোনও সঙ্কটের মোকাবিলা করতে পারবেন আপনারা।’’ গুরদীপ সিংহ নামে এক ভারতীয় লিখেছেন, ‘‘ভারতও আমেরিকাকে ভালবাসে।’’

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বাধিক আক্রান্ত, সুস্থও হলেন চার লক্ষের বেশি

আরও পড়ুন: লাদাখের জমি কবে ছাড়বে চিন, উত্তর নেই

মে মাসের গোড়ার দিকে প্যাংগং লেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সেনা মোতায়েন ঘিরে নয়াদিল্লি-বেজিং সঙঘাতের সূত্রপাত। ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দু’দেশের সেনা সংঘর্ষের পর সেই আবহ আরও তপ্ত। আবার কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ভারত-মার্কিন উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বেজিং অসন্তুষ্ট। ভারত ও আমেরিকা একজোট হয়ে চিনকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে বলেও মনে করে শি চিনফিং সরকার। সেই সব কারণেই ভারতীয় সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় আগ্রাসন চালিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের এই সুসম্পর্ক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত কূটনৈতিক শিবিরের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE