ছবি: এএফপি।
অসমের এনআরসি নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকাও।
মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত ভারপ্রাপ্ত সহ-সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস গত কাল বলেছেন, ‘‘অসমের ১৯ লক্ষ মানুষ দেশহীন হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন। কারণ, তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।’’ জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে ভারতের রাজনীতি সরগরম বহু দিন ধরেই। কিন্তু তা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ রাজনীতিকের মুখ খোলাটা তাৎপর্যপূর্ণ।
শুধু এনআরসি নয়, মার্কিন কংগ্রেসের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সাব-কমিটির বৈঠকে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসা ও বৈষম্য, বিশেষত মুসলিম ও দলিতদের উপরে গোরক্ষকদের আক্রমণ, ন’টি রাজ্যে ধর্মান্তর-বিরোধী আইন— সব নিয়েই ভারতকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন অ্যালিস। তাঁর মতে, উল্লিখিত প্রত্যেকটি উদাহরণই ভারতে সংখ্যালঘুদের আইনি রক্ষাকবচের পরিপন্থী। ঠিক একই সুরে তিনি পাকিস্তানেও সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। এবং তাতে খানিকটা অস্বস্তি বেড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের। কারণ, জঙ্গি তোষণের দায়ে এই পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতেই আমেরিকাকে পাশে টানতে চান মোদী।
অ্যালিস বলেন, ধর্মাচরণের স্বাধীনতা এবং অরক্ষিতদের রক্ষা করার কথা ভারত সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। এই ‘অরক্ষিত’-দের কথা বলতে গিয়েই অসমের নাগরিকদের কথা তোলেন তিনি। সব ধরনের হিংসার নিন্দা এবং দোষীদের চিহ্নিত করার কথাও বলেন। অ্যালিসের বক্তব্য, ‘‘অন্য সব দেশের মতো ভারতের সঙ্গেও আমরা মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালাই। বিদেশে বসবাসকারী মার্কিন নাগরিকদের, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে, স্বার্থ রক্ষা করাকে আমরা অগ্রাধিকার দিই। তাই কোনও অভিভাবক তার সন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে (বিবাহবিচ্ছিন্ন দম্পতিদের ক্ষেত্রে), এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা ভারতকে তার গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করি। আশাও করি, তারা এই ধরনের ঘটনা রুখতে চেষ্টা চালাবে।’’
ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো, সাধারণ নির্বাচন, ধর্ম ও ভাষার বৈচিত্রের কথাও বলেন মার্কিন নেত্রী। নোটের অঙ্ক ১৫টি ভাষায় ছাপা হওয়া বা দলাই লামাকে আশ্রয় দেওয়ার মতো উদাহরণ দিয়ে জানান, ভারতের সঙ্গে জোট বাঁধতে পেরে আমেরিকা গর্বিত। এ-ও বলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় প্রয়োজনের তুলনায় কর্মীর সংখ্যা কম থাকা কিংবা কেন্দ্রীয় কাঠামোর দৌলতে পুলিশ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় মাঝেমধ্যে জটিলতা দেখা দেয়। এই সব বাধা সত্ত্বেও এ দেশের নাগরিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি ভাল কাজ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy