গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটে বিপুল ছাঁটাইয়ের খবর। — ফাইল ছবি।
বিশ্বের প্রযুক্তিক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের ঘন কালো মেঘ। গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। যা গোটা বিশ্বে অ্যালফাবেটের মোট কর্মী সংখ্যার ৬ শতাংশ। সংস্থার প্রধান সুন্দর পিচাইকে উদ্ধৃত করে এমনই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
কয়েক দিন আগেই গুগলের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফট কর্প জানিয়েছিল তারা সংস্থার ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে। তার পরেই অ্যালফাবেটেও বিপুল ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া গেল। এখানেই শেষ নয়, অ্যামাজ়ন, মেটা-র মতো বহুজাতিকও কর্মী ছাঁটাইয়ে নেমে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে অ্যামাজ়ন ছাঁটাই করছে ১৮ হাজার কর্মীকে, মেটা ১১ হাজার কর্মী, মাইক্রোসফট ১০ হাজার কর্মীকে, সেলসফোর্স ৮ হাজার কর্মীকে, এইচপি ৬ হাজার কর্মী, টুইটার ৩৭০০ কর্মী এবং সিগেট ৩ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে। সব মিলিয়ে যা এ যাবৎ কালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
কিন্তু এই মুহূর্তে বিপুল ছাঁটাইয়ের কারণ কী? প্রযুক্তিক্ষেত্রের ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ (এআই)-এ বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমেই বাড়াচ্ছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। এতেই টান পড়ছে ভাঁড়ারে। আবার, প্রযুক্তি দুনিয়ার পরিস্থিতি যা, তাতে এই মুহূর্তে এআই-এর পিছনে বিনিয়োগ কমানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না কোনও বহুজাতিকই। এ দিকে সংস্থার আয় বৃদ্ধির নতুন পথও বেরোচ্ছে না। স্বভাবতই কর্মী ছাঁটাই করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চলছে। সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে টালমাটাল অর্থনীতির কারণে। অক্টোবরে দেখা গিয়েছিল, গত বছরের তুলনায় গুগলের মুনাফা কমে গিয়েছিল ২৭ শতাংশ। যা অর্থের হিসাবে ১,৩৪০ কোটি ডলার।
মানবসম্পদ নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি সংস্থার দাবি, ২০২২-এ ছাঁটাইয়ের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে প্রযুক্তিক্ষেত্রে। গত বছর শুধুমাত্র প্রযুক্তিক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ৯৭,১৭১ জন। যা গত বছরের তুলনায় ৬৪৯ শতাংশ বেশি, জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy