দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। —ফাইল ছবি।
প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে পড়ে সামরিক আইন (মার্শাল ’ল) প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেও নিস্তার পাচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। বিরোধী শিবির ঘোষণা করেছে, এ বার তাঁকে বরখাস্ত করার (ইমপিচমেন্ট) প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, ইওলকে ইমপিচ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির পাশাপাশি ইওলের দল পিপল্স পাওয়ার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যদের একাংশও ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ায় শামিল হয়েছেন। ইওল-বিরোধী জোটের নেতা হোয়াং উন হা বলেন, ‘‘আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা ভোটাভুটি করতে চাই।’’
ইওল মঙ্গলবার দুপুরে সামরিক আইন জারির কথা ঘোষণা করার পরেই মঙ্গলবার বিকেল থেকে পূর্ব এশিয়ার ওই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল অশান্তি। ওই আইন বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব দেওয়া হয় সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল পার্ক আন-সু-কে। কিন্তু তার পরেই ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সামরিক আইন জারির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রস্তাব পাশ করিয়েছিলেন পার্লামেন্টে। সেই সঙ্গে পার্লামেন্ট সদস্যদের একাংশ এবং আমজনতা রাজধানী সোলে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে বুধবার সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন ইওল। কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি? দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের যুক্তি ছিল, পড়শি দেশ উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। তাই এই পদক্ষেপ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘উদারপন্থী দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিদের নির্মূল করতে আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি।’’ কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টার ঘটনাপ্রবাহ ‘অসুরক্ষিত’ করে তুলল তাঁরই কুর্সি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy