কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অনন্ত অপেক্ষা ছবি: রয়টার্স
বিরাট উঁচু দেওয়ালের গা ঘেঁষে গিয়েছে বিমানবন্দরের মূল নিকাশি নালা। নালার নোংরা জলে দাঁড়িয়ে কাতারে কাতারে পুরুষ-মহিলা। কাঁটাতারে ঘেরা উঁচু দেওয়াল টপকে বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকতে পারলেই যেন নিশ্চিত মুক্তি। অনেকের কোলে বাচ্চা, পিঠের ব্যাকপ্যাকে যৎসামান্য সম্বল। দেশ ছাড়তে প্রাণের মায়া করছেন না আফগানিস্তানের মানুষ।
চুম্বকে কাবুল বিমানবন্দরের ছবি এটাই। কে বলবে মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে এলাকা! জলজ্যান্ত মানুষ মুহূর্তে রূপান্তরিত হয়েছে দলা দলা মাংসপিণ্ডে। আবার বিস্ফোরণের ভয় উড়িয়ে, প্রাণের মায়া ছেড়ে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় ফিরে এসেছে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশে। লক্ষ্য একটাই, যে করে হোক বিমানের মেঝেতে পা দেওয়া। হাতে সময় যে আর বেশি নেই!
শুক্রবার কাকভোর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে। তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। আমেরিকা থেকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স থেকে ভারত, সব দেশই চাইছে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার কাজ শেষ করে ফেলতে। বৃহস্পতিবার রাতের বিস্ফোরণ সেই উদ্যোগকে তরান্বিত করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তালিবানি শাসন ছেড়ে যাঁরা দেশান্তরী হতে চাইছেন, তাঁদের কী হবে? আত্মঘাতী বিস্ফোরণ থেকে নির্বিচার গুলিবৃষ্টি, কিছুতেই তাঁদের আটকানো যাচ্ছে না। সকলেই আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া।
আফগানিস্তানের টোলো টিভির দাবি, বিস্ফোরণের আগে ও পরে বিমানবন্দরে ভিড়ের বহর একই। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, অগুনতি মানুষের কত জন শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে সক্ষম হবেন? আর যাঁরা পারবেন না, তাঁদেরই বা ভবিতব্য কী?
বৃহস্পতিবার রাতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চত্বর। স্থানীয়, বিদেশি মিলিয়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের, আহত আরও বেশি। বিস্ফোরণের দায় নিয়েছে আইএস খোরাসান গোষ্ঠী। তার পর কেটেছে রাত, দিনের আলোয় ফের শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। বিস্ফোরণের ভয় বুকে চেপে নর্দমার নোংরা জলে দাঁড়িয়ে অব্যাহত দেশ ছাড়ার মরিয়া চেষ্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy