Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Anti Terror Operation

সন্ত্রাস-সম্মেলনে নেই পাক-আফগানিস্তান, সাড়া দেয়নি চিনও

সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন দেওয়ার টাকা হাওয়ালা ছাড়াও যে ভাবে নতুন নতুন পদ্ধতিতে বিদেশ থেকে আসছে, তা রোখা গোয়েন্দাদের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বলে স্বীকার করে নিয়েছেন এনআইএ-র ডিজি।

দিনকর গুপ্তা, ডিজি, এনআইএ।

ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৭:০২
Share: Save:

সন্ত্রাস প্রশ্নে যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভারতের প্রধান চিন্তার কারণ, সেই দু’দেশই আগামিকাল থেকে দিল্লিতে শুরু হতে চলা ‘নো মানি ফর টেরর’ শীর্ষক আলোচনাচক্রে অনুপস্থিত থাকছে বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও সন্ত্রাস প্রশ্নে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রায়শই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানো চিনের প্রতিনিধি দু’দিনের ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছেন না বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা। কাল দিল্লিতে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার পরে সন্ত্রাসে অর্থের জোগান রোখা তৃতীয় দফার সংক্রান্ত বৈঠকটি হতে চলেছে এ দেশে। আজ বিকেল পর্যন্ত ৭২টি দেশ ও সন্ত্রাস দমনের সঙ্গে যুক্ত ১৫টি সংস্থা ওই বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সন্ত্রাসে টাকা জুগিয়ে ভারতকে অস্থির করে তোলার পিছনে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে পাকিস্তানের। অন্য দিকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থের মাধ্যমে সন্ত্রাসের নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাওয়ার, যাতে ক্ষতি হচ্ছে ভারতের। আজ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র ডিজি দীনকর গুপ্ত বলেন, ‘‘প্রতিবেশী ওই দুই দেশ উপস্থিত থাকছে না। থাকছে না চিনও।’’ কেন্দ্র জানিয়েছে, চিনের কাছে আমন্ত্রণ পাঠানো হলেও বেজিং তাতে আজ রাত পর্যন্ত সাড়া দেয়নি। কিন্তু আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নেরও সরাসরি কোনও জবাব দিতে চাননি বিদেশ মন্ত্রকের কর্তা সঞ্জয় বর্মা। সূত্রের খবর, পাকিস্তানকে ওই আলোচনাসভায় উপস্থিত থাকার ব্যাপারে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি নয়াদল্লি। সুতরাং ওই দেশকে আমন্ত্রণ জানানোর কোনও প্রশ্নই নেই।

সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন দেওয়ার টাকা হাওয়ালা ছাড়াও যে ভাবে নতুন নতুন পদ্ধতিতে বিদেশ থেকে আসছে, তা রোখা গোয়েন্দাদের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বলে স্বীকার করে নিয়েছেন এনআইএ-র ডিজি। দীনকর গুপ্ত বলেন, ‘‘দেশে জঙ্গি হামলার ঘটনা কমলেও নতুন নতুন পদ্ধতিতে টাকা পাঠানোর ফন্দি খুঁজে বার করছে সন্ত্রাসবাদীরা।’’ দু’দিনের ওই আলোচনায় সমাজমাধ্যমের উপরে নজরদারির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। কেন ওই নজরদারি প্রয়োজন, সে প্রসঙ্গে দীনকরের ব্যাখ্যা, ‘‘সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ বা কোনও একটি কারণ দেখিয়ে জনগণের থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। সেই অর্থ অনেক সময়েই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার হচ্ছে। তাই নজরদারি প্রয়োজন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Anti Terror Operation NIA Pakistan Afghanistan China
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy