ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা এমআই৫-এর দ্বারস্থ হলে, তাঁরাও একাধিক বার প্রত্যাখ্যান করেন তাঁকে। তাতে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন হুয়ান। স্পেনীয় অফিসার এবং হিটলারের সমর্থক সেজে মাদ্রিদে নাজি অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তি করতে চান বলে জানান। সন্দেহ এড়াতে ভুয়ো কূটনৈতিক ভিসাও জোগাড় করে ফেলেছিলেন।
লিসবন এবং মাদ্রিদে থেকেই এই কাজ করতেন হুয়ান। যদিও তিনি লন্ডন থেকে তথ্য পাঠাচ্ছেন বলে ভাবতেন নাজি অফিসাররা। তবে একেবারেই যে কোনও ভুল করেননি তা নয়। নাজি অফিসারদের তথ্য পাচারের সময় একবার বলে বসেন, গ্লাসগোয় এমন কিছু লোক রয়েছেন, যাঁরা ওয়াইনের জন্য সব কিছু করতে পারেন। আদতে জার্মান বিয়ার পছন্দ করতেন স্কটিশরা।
এর মধ্যেই ব্রিটিশ গুপ্তচরদের কানেও হুয়ান পুজল গার্সিয়ার খবর এসে পৌঁছয়। সন্ধান শুরু হলে নিজেই সামনে আসেন হুয়ান। তাঁকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয়। সদস্য করে নেওয়া হয় এমআই৫-এর। নাম রাখা হয় ‘এজেন্ট গার্বো।’ তা সত্ত্বেও কিছু টের পায়নি জার্মানরা। বরং হিটলারের সমর্থনে ২৭ জন গুপ্তচর নিয়োগ করে ফেলেছেন বলে তাদের ভুয়ো তথ্য পাঠান হুয়ান। খরচ বাবদ মোটা টাকাও আদায় করেন।
নরম্যান্ডি আক্রমণের পরও এমআই৫-এর হয়ে কাজ করেছেন হুয়ান। জার্মানি নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে কিনা, সে খবর ব্রিটেনকে সরবরাহ করতেন তিনি। যুদ্ধ শেষে ইউরোপ ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে চেয়েছিলেন হুয়ান। প্রথমে ভেনেজুয়েলা গিয়ে পৌঁছন তিনি। কিন্তু শাস্তি এড়াতে বহু নাজি সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। পাছে তাদের কেউ তাঁকে চিনে ফেলে, তাই সেখান থেকে পালিয়ে আসেন তিনি।
১৯৭১ সালে এজেন্ট গার্বোকে নিয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েন ব্রিটিশ রাজনীতিক রুপার্ট অ্যালাসন। নাইজেল ওয়েস্ট ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন রুপার্ট। অনেক চেষ্টার পর ১৯৮৪ সালের ২০ মে হুয়ান পুজল গার্সিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। সে বছরই ৬ জুন মিত্রপক্ষের নরম্যান্ডি দখলের ৪০ বছর পূর্তিতে সেখানে যান হুয়ান। ১৯৮৮ সালে মৃত্যু হয় হুয়ানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy