ফাইল চিত্র।
গত মাসে দেশের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেপি শর্মা ওলি। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্তের পিছনে পড়শি ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ‘প্রচণ্ড’।
২০১৮ সালে ওলি ও প্রচণ্ডের দল মিশে তৈরি হয়েছিল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি)। দুই দল মিশে যাওয়ার পরে ওলি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু কয়েক মাস পর থেকেই এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। দলেও তৈরি হয় দু’টি গোষ্ঠী। গত ২০ ডিসেম্বর ওলি পার্লামেন্ট ভাঙার অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর কাছে। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ মেনে ২৭৫ আসনের পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। এর পর থেকেই প্রচণ্ড ও তাঁর গোষ্ঠীর সদস্যেরা নেপালের রাস্তায় ওলির বিরুদ্ধে একাধিক বার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
গত কাল কাঠমান্ডুর ‘নেপাল অ্যাকাডেমি হল’-এ নিজের গোষ্ঠীর সদস্যদের সামনে বক্তৃতা দিয়েছেন প্রচণ্ড। সেখানেই শাসক দলে ভাঙনের জন্য সরাসরি ওলির দিকে তোপ দেগেছেন তিনি। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পিছনে নয়াদিল্লির হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘এনসিপি-রই কিছু নেতা ভারতের হয়ে সরকার উল্টোনোর কাজ করেছেন।’’ ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রধান সমন্ত গয়ালের সঙ্গে ওলি নিভৃতে নিজের বাসভবনে দেখা করেছেন বলেও জানিয়েছেন প্রচণ্ড। তাঁর দাবি, ‘‘কোনও তৃতীয় পক্ষ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিল না। তা হলে কি ভারতের নির্দেশেই সরাসরি পার্লামেন্ট ভেঙেছেন ওলি?’’ তাঁর আরও বক্তব্য, নেপালের মানুষ আসল সত্যিটা জানতে পেরে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এ ভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে নেপালের মতো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রকে বিশাল ধাক্কা দিয়েছেন ওলি।’’
বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি সাউথ ব্লক। তারা শুধু বলেছিল, ওলি যা করেছেন, তা একেবারেই নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরে ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে ভোটের দিন ঘোষণা করেছেন ওলি।
এর মধ্যেই দু’দিনের সফরে দিল্লি পৌঁছেছেন বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গ্যাওয়ালি। আগামী কাল ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা তাঁর। নেপালের পার্লামেন্ট ভাঙার পরে এই প্রথম নেপালের কোনও মন্ত্রী ভারতে গেলেন। কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক নিয়ে দু’দেশের আলোচনা হওয়ার কথা। চিনের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও প্রতিষেধক নিয়ে কথা বলে রেখেছে নেপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy