Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Cyber Attack

কানাডার বায়ুসেনার ওয়েবসাইটে হামলা হ্যাকারদের, দায় নিল ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ফোর্স’

কানাডা ফৌজের ওয়েবসাইটের ডেটা সেন্টারে হ্যাকার-হানার নেপথ্যে ভারতীয় যোগাযোগের অভিযোগ নতুন করে কূটনৈতিক পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
টরন্টো শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৩
Share: Save:

খলিস্তান-বিতর্ক ঘিরে কূটনৈতিক চাপানউতরের আবহেই কানাডার বায়ুসেনার সরকারি ওয়েবসাইটে হ্যাকার-হানার ঘটনা ঘটল। সে দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ, ভারতীয় হ্যাকাররাই এই সাইবার হামলা চালিয়েছে। ঘটনাচক্রে, ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ফোর্স’ নামে একটি হ্যাকার গোষ্ঠী এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।

কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কূটনৈতিক রীতি ভেঙে খলিস্তানপন্থী মন্তব্য করে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন দেড় সপ্তাহ আগে। ঘটনার জেরে কূটনৈতির তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। এই আবহে কানাডা ফৌজের ওয়েবসাইটের ডেটা সেন্টার হ্যাকের নেপথ্যে ভারতীয় যোগাযোগের অভিযোগ নতুন করে পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুললে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কানাডার ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট’-এর মিডিয়া রিলেশনশিপ প্রধান ড্যানিয়েল লে বুথিলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বৃহস্পতির দুপুরে ওয়েবসাইটে গোলযোগ ধরা পড়ে। দ্রুততার ভিত্তিতে তা ঠিক করা হয়। এটিকে হ্যাকারদের হামলা বলেই মনে করছে কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

অন্য দিকে, ইন্ডিয়ান সাইবার ফোর্স, এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লিখেছে ‘কানাডা বায়ুসেনার ওয়েবসাইটটিতে আঘাত হানা হয়েছে’। ওয়েবসাইটটি দু’ঘণ্টা ধরে বিকল ছিল বলেও দাবি করে একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করাও হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার ভূমিকা ছিল বলে কানাডার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। তার পর থেকেই দু’দেশের কূটনৈতিক সংঘাত শুরু হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Hackers Cyber Attack Canada Justin Trudeau
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE